পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় &ኃbr8 অভিভাষণ ২। এই বক্তৃতার উপলক্ষ রচনাশীর্ষে উল্লিখিত ; সুধেন্দুরঞ্জন রায় এই বক্তৃতার অনুলিখন করেন। অভিভাষণ ৩। এই বক্তৃতার উপলক্ষ রচনাশীর্ষে উল্লিখিত হইয়াছে। এই বক্তৃতা রবীন্দ্রনাথকর্তৃক সংশোধিত নয় বলিয়া মনে হয়। পূর্বে এটি আনন্দবাজার পত্রিকা-য় ও মিউজিক অভিভাষণ ৪। গীতালি নামে একটি রবীন্দ্রসংগীতশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উদবোধনে কথিত এই ভাষণের প্রতিলিপি রবীন্দ্রনাথ - কর্তৃক সংশোধিত নয় বলিয়া অনুমান করা যাইতে পারে। “গীতালির উদ্দেশ্য হইতেছে রবীন্দ্রনাথের সংগীত যাহাতে সমাজে বিশুদ্ধরূপে গীত হয়, তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা।” ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী এই প্রতিষ্ঠানের সভানেত্রী ছিলেন, সম্পাদিকা নলিনী বসু। যুগ্ম-সম্পাদক প্রফুল্ল মহলানবিশ, বুলা নামে পরিচিত ও এই অভিভাষণে উল্লিখিত। “আমার গানের উপর হীমারোলার চালিয়ো না” শিরোনামে অভিভাষণটি আনন্দবাজার পত্রিকা-য় (১৭ আষাঢ় ১৩৪৭ ) প্রকাশিত হয়। ৯ দিলীপকুমার রায় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নানা বিষয়ে, বিশেষত সংগীতের বিষয়ে, বিভিন্ন সময়ে তাহার আলোচনার বহু বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন ; রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক পুনলিখিত হইয়া বা তাহার অনুমোদনক্ৰমে সেগুলি সাময়িক পত্রে/বা দিলীপকুমার রায়ের সাঙ্গীতিকী (১৯৩৮) ও তীর্থঙ্কর (১৩৪৬) গ্রন্থে মুদ্রিত হইয়াছে। এই আলাপ-আলোচনার প্রাসঙ্গিক ছয়টি বিবরণ এখানে সংকলিত হইল ; পঞ্চমটি (২৬ মার্চ ১৯৩৮) নারায়ণ চৌধুরী কর্তৃক লিখিত। এই আলোচনার মধ্যে কয়েকটির সাময়িক পত্রে প্রকাশ-বিবরণ পূর্বেই সংকলিত হইয়াছে। প্রথম ও দ্বিতীয় আলোচনার সাময়িক পত্রে প্রকাশকালে দিলীপকুমার লেখেন : “কবির তার নিজের বক্তব্যটুকু প্রায় সমস্তই আদ্যন্ত লিখে দিয়েছেন।” তৃতীয় আলোচনা সাময়িক পত্রে প্রকাশের সূচনায় রবীন্দ্রনাথ লেখেন : ‘আলোচ্য প্রসঙ্গটা প্রধানত আমারই!...আমার কথা সমস্তটা আমাকেই লিখতে হল। .সংগীত সম্বন্ধে নিজের মত প্রকাশের ভার এই লেখাতে সম্পূর্ণ নিজের হাতেই নিয়েছি।” চতুর্থ আলোচনা অনুলেখকের এই টীকা-সহ সাময়িক পত্রে মুদ্রিত হয় : ‘লেখাটি কবিকে আদান্ত পড়ে শোনানো হয়েছে। কবি তীর বক্তব্যের অনুলিপি অনুমোদন করেছেন। পঞ্চম আলোচনা রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক অনুমোদিত বলিয়া তীর্থঙ্কর গ্রন্থে (১৩৪৬ সংস্করণ, পৃ ২২৯) উল্লিখিত। ষষ্ঠ আলোচনা প্রসঙ্গে দিলীপকুমারকে ২৯ জুন ১৯৩৮ তারিখে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্রে তীর্থঙ্কর (১৩৪৬, পৃ. ২৩২) গ্রন্থে মুদ্রিত আছে: ‘আমি যে কথা বলেছি ঠিক তার যন্ত্রকৃত প্ৰতিলিখনটা অসম্পূর্ণ- তোমার মনে যেসব চিন্তার উদ্রেক হয়েছে সেইটের যোগে সমস্তটা সজীব এবং সম্পূর্ণ. খোলসা করে সব কথা বলে তুমি ছাপিয়ো, তাতে পাঠকদের পরিতৃপ্তি হবে।" | এই আলোচনাগুলি সংগীতচিন্তা গ্রন্থে প্রকাশকালে বর্ণনামূলক কোনো-কোনো অংশ বাদ দেওয়া হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, বিশেষত বর্তমান সংকলনের প্রাসঙ্গিক বক্তব্য বা আলোচ্য বিষয়, অনুধাবনের সুযোগ যাহাতে ক্ষুন্ন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখা হইয়াছে। । দিলীপকুমার রায়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আলাপ-আলোচনার বিশদ বিবরণ র্যাহারা জানিতে ইচ্ছা করেন, দিলীপকুমারের গ্রন্থগুলিতে তাহা পাওয়া যাইবে। ] ১০ অধ্যাপক বিপিনবিহারী গুপ্ত উনবিংশ শতাব্দীর কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তঁহাদের জীবনকথা ও বিভিন্ন বিষয়ে তঁহাদের বক্তব্য সংকলন করিয়া ‘পুরাতন প্রসঙ্গ’ শিরোনামে পত্রিকাদিতে মুদ্রিত করেন, পরে এগুলি ‘পুরাতন প্রসঙ্গ” নামে গ্রন্থভুক্ত হয়।