পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় G বিচিত্ৰ সম্পাদক তোমার নির্দেশ অনুসারে অক্ষর ঢালাই করতে রাক্তি আছেন এবং তুমি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করে যদি কিছু লেখ তারা সেটাকে প্রকাশ করতে চান- এ সম্বন্ধে এ দেশে তোমার মতই সব চেয়ে প্রামাণ্য এই কারণে বাংলা বর্ণমালায় নূতন অক্ষর যোজন তোমার মত ধ্বনিতত্ত্ববিশারদের কাছেই প্রত্যাশা করি।.” ২৩। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃক নিযুক্ত বাংলা বানান-সংস্কার সমিতি যে "বাংলা বানানের নিয়ম' (মে ১৯৩৬) প্রকাশ করেন তার ভূমিকায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় লেখেন : - “কিছুকাল পূর্বে রবীন্দ্রনাথ চালিত বাংলা বানানের রীতি নির্দিষ্ট করিয়া দিবার জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেন। গত নভেম্বর মাসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানানের নিয়ম-সংকলনের জন্য একটি সমিতি গঠন করেন। সমিতিকে ভার দেওয়া হয়- যে সকল বানানের মধ্যে ঐক্য নাই সে সকল যথাসম্ভব নির্দিষ্ট করা এবং যদি বাধা না থাকে। তবে কোনো কোনো স্থলে প্রচলিত বানান সংস্কার করা। প্রায় দুই শত বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপকের অভিমত আলোচনা কবিয়া সমিতি বানানের নিয়ম সংকলন করিয়াছেন।” এই পুস্তিকার দ্বিতীয় সংস্করণের (অক্টোবর ১৯৩৬) সূচনায় রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের সম্মতির পাণ্ডলিপিচিত্র বিজ্ঞাপিত হইয়াছিল ; বাংলা বানান সম্বন্ধে যে নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন। আমি তাহা পালন করিতে ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্ৰীশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১লা আশ্বিন ১৩৪৩ ২৬। দেবীপ্রসাদ ঘোষের যে পত্রের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ এই দুটি পত্র লেখেন সেই পত্র এবং রবীন্দ্রনাথের পত্রের পূর্ণতর পাঠ দেবপ্রসাদ ঘোষ -প্ৰণীত বাংলা ভাষা ও বাণান’ (১৩৪৬) धहसूस । !" ‘রোচনা' পত্রিকায় বাংলা বানান সংস্কার বিষয়ে অসিতকুমার হালদার যে প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন, সে-প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ১১ জুলাই ১৯৩৫ তাহাকে লেখেন : “বানান সংস্কার পড়লুম। তিন সিয়ের মধ্যে মূৰ্দ্ধণ্য ষ কে রক্ষা করার অর্থ বুঝিনে। শ বাংলা উচ্চারণে ব্যবহার হয়, বাকি দুটো হয় না। জ-এর বদলে যা ব্যবহার করাও ভ্ৰমাত্মক। বাংলায় অন্তঃস্থ য কে আমরা বগীয় জ-এর মতোই উচ্চারণা করি। অন্তঃস্থ য-এর উচ্চারণ বাংলায় নেই। উপসংহারে ব্ৰক্তব্য এই যে বাংলাদেশে কামাল পাশার আবির্ভাব যদি হয় তবেই বর্তমান প্রচলিত বানানের পরিবর্তন সম্ভব হতে পারে, যুক্তিতর্কের দ্বারা হবে না।” -“চিঠিপত্রে রবীন্দ্রনাথ”, * উত্তরা, কার্তিক ১৩৫৯, পৃ. ২১০ ২৭ চিহ্নবিভ্ৰাট প্রসঙ্গে সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে লিখিত যে পত্রটি ভূমিকাস্বরূপ ব্যবহার করা হইয়াছে তাহতে প্রতিশব্দ প্রসঙ্গ রহিয়াছে- সেই বিচারে এই ভূমিকাটি “প্রতিশব্দ”-প্রসঙ্গেও বিবেচ্য। - ৩১ দুটি প্রবন্ধই শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ‘পারিবারিক-স্মৃতি-লিপি-পুস্তক' পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়। পাণ্ডলিপি অনুযায়ী প্রথম প্রবন্ধটির রচনা-তারিখ ২২ কাৰ্তিক ১২৮৮৷৷ প্ৰবন্ধটি ভারতী ১৩২৪ বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছিল। দ্বিতীয় প্রবন্ধটির পাণ্ডলিপিতে