পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী و ۹ م\ তারিখ : ৬, ১১,৮৮ ; প্রবন্ধটি বাংলা শব্দতত্ত্বের তৃতীয় স্বতন্ত্র সংস্করণে (১৩৯১) প্রথম মুদ্রিত হয়। পারিবারিক খাতায় নানা সূত্রে রবীন্দ্রনাথের হস্তক্ষেরে শব্দতত্ত্ব-বিষয়ক মন্তব্য পাওয়া যায় : RQ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিম্নলিখিত মন্তব্যের“Citizen ও নাগর এ উভয়েরই অর্থ নগরবাসী। কিন্তু উহাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল "wwwצ.צ צ.ט צול ת&6 5 ו wס36 সূত্রে R. T. অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ লেখেন- । “রসিক কথাটার বাঙ্গলা মানে ভাবুক অথবা বিশুদ্ধ Humorous নহে। রসিক কথাটার মধ্যে নাগরি শব্দের মত একটা মলিন ভাব আছে। R, T, ১৭.১১.৮৮” ৩৫। রবীন্দ্র-রচনাবলীর দ্বিতীয় খণ্ডে (সুলভ সংস্করণ প্রথম খণ্ড) ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর সূচনায় রবীন্দ্রনাথ লিখিয়ছিলেন : “অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় পৰ্যায়ক্রমে বৈষ্ণব পদাবলী প্রকাশের কাজে যখন নিযুক্ত হয়েছিলেন, আমার বয়স তখন যথেষ্ট অল্প। সময় নির্ণয় সম্বন্ধে আমার স্বাভাবিক অন্যমনস্কতা তখনো ছিল, এখনো আছে। সেই কারণে চিঠিতে আমার তারিখকে যাঁরা ঐতিহাসিক বলে ধরে নেন। তঁরা প্রায়ই ঠিকেন। বর্তমান আলোচ্য বিষয়ের কাল অনুমান করা অনেকটা সহজ। বোম্বাইয়ে মেজদাদার কাছে যখন গিয়েছিলুম তখন আমার বয়স ষোলোর কাছাকাছি, বিলাতে যখন গিয়েছি তখন আমার বয়স সতেরো। নূতন-প্ৰকাশিত পদাবলী নিয়ে নাড়াচাড়ি করছি, সে আরো কিছুকাল পূর্বের কথা। ধরে নেওয়া যাক, তখন আমি চোদয় পা দিয়েছি। খণ্ড খণ্ড পদাবলীগুলি প্রকাশ্যে ভোগ করবার যোগ্যতা আমার তখন ছিল না।. “পদাবলীর যে ভাষাকে ব্ৰজবুলি বলা হত আমার কৌতুহল প্রধানত ছিল তাকে নিয়ে। শব্দতত্ত্বে আমার ঔৎসুক্য স্বাভাবিক। টীকায় যে শব্দার্থ দেওয়া হয়েছিল তা আমি নির্বিচারে ধরে নিই নি। এক শব্দ যতবার পেয়েছি তার সমুচ্চয় তৈরী করে যাচ্ছিলুম। একটি ভালো বাঁধানো খাতা শব্দে ভরে উঠেছিল। তুলনা করে আমি অর্থ নিৰ্ণয় করেছি।...” জীবনস্মৃতি-তে ‘ভানুসিংহের কবিতা’ অধ্যায়ে লিখিয়াছেন : “শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার ও সারদাচরণ মিত্র মহাশয়-কর্তৃক সংকলিত প্রাচীন কাব্য সংগ্ৰহ আমি বিশেষ আগ্রহের সহিত পড়িতাম। তাহার মৈথিলীমিশ্রিত ভাষা আমার পক্ষে দুর্বোিধ ছিল। কিন্তু সেইজন্যই এত অধ্যবসায়ের সঙ্গে আমি তাহার মধ্যে প্রবেশচেষ্টা করিয়াছিলাম।” এই অধ্যবসায়ের অন্যতম নিদর্শন ১২৮৮ সালের ভারতী-তে প্ৰকাশিত ‘প্রাচীন-কাব্যসংগ্ৰহ (বিদ্যাপতি), ‘প্রাচীনকাব্যসংগ্রহ/উত্তর-প্রত্যুত্তর,’ ‘বিদ্যাপতির পরিশিষ্ট’ প্ৰবন্ধ। শ্রাবণ ভাদ্র ও কাৰ্তিক সংখ্যায় এই আলোচনাবলী প্রকাশিত হইয়াছিল ; সূচীপত্রে বা প্রথম প্রবন্ধে লেখকের নাম নাই ; দ্বিতীয় সংখ্যায় আলোচনা-প্রসঙ্গে ‘শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রস্তাব-লেখক' এইরূপ উল্লেখ আছে। বিদ্যাপতির পরিশিষ্ট’ স্বাক্ষরিত প্ৰবন্ধ ; এই প্রবন্ধেও প্রথম প্ৰবন্ধটি যে তাহার রচনা সে কথা রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করিয়াছেন। এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য জিজ্ঞাসা ও উত্তর’, ভারতী জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ১২৯০, বিদ্যাপতি-প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, প্রাচীনকাব্যসংগ্রহ-সংক্রান্ত আলোচনার পাঁচ বৎসর পরে ১২৯৩ সালে 'শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সম্পাদিত” বিদ্যাপতির পদাবলী' প্রকাশের