পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gebro রবীন্দ্র-রচনাবলী -সংখ্যা নারায়ণ-এ মুদ্রিত হয়- পরে এটি “হিন্দু-সঙ্গীত ও কবিবার স্যার শ্ৰীরবীন্দ্রনাথ’ নামে পুস্তিকাকারেও প্রকাশিত হয় (১৩২৫)। 8 Introduction to a collection by Md. Mansuruddin' টীকা-সহ প্ৰবন্ধটির একটি ইংরাজি অনুবাদ জুলাই ১৯২৮ –সংখ্যা বিশ্বভারতী কোয়ার্টার্লির অন্তর্গত বিশ্বভারতী বুলেটিনের ২৫৭-৫৯ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-প্রকাশিত হারামণি (১৯৪২)-তে মূল রচনাটি আশীর্বাদ” শিরোনামে ব্যবহার করা হইয়াছে। ৫ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীতশিক্ষা প্রবর্তন সম্পর্কে বাংলা সরকারের শিক্ষাবিভাগ রবীন্দ্রনাথের মত জানিতে চাহিলে তিনি জানাইয়াছিলেন, এই ব্যবস্থা গড়িয়া-তোলার পক্ষে পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে উপযুক্ততম ব্যক্তি। রবীন্দ্রনাথের এই মত লইয়া কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে তিনি বিষ্ণুপুরের গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার শ্রেষ্ঠ গায়ক বলিয়া অভিহিত করিলে প্রধানত দিলীপকুমার রায় এই মতের প্রতিবাদ করেন। বর্তমান প্রবন্ধটি এই বিতর্কের পটভূমিকায় লিখিত। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-সচিব অমিয় চক্রবর্তী মারফত রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে একটি চিঠি ইহার পূর্বেই প্রবাসী-সম্পাদককে পাঠাইয়াছিলেন (প্রবাসী, কার্তিক ১৩৩৫, ° »७१) : শ্ৰীযুক্ত গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের গায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ খ্যাতি পাইবার যোগ্য সন্দেহ নাই। পুরুষানুক্ৰমে তিনি হিন্দুস্থানী সংগীতের চর্চা করিয়া পারদর্শিতালাভ করিয়াছেন, এ কথা অস্বীকার করিবার কোনো হেতু নাই। শ্ৰীযুক্ত ভাটিখণ্ডে মহাশয় সংগীতশাস্ত্ৰজ্ঞতায় ভারতে অদ্বিতীয় বলিয়া আমি বিশ্বাস করি।- ইহার যোগ্যতার প্রশংসাবাদ করিবার উপলক্ষে অন্য কোনো গীতিবিশারদের মান খর্ব করার আমি অনুমোদন করি না। ইতি ৬ই অক্টোবর ১৯২৮ ৬ নিউ এডুকেশন ফেলোশিপ বা নবশিক্ষাসংঘের (১৯১৫ খৃস্টাব্দে ইংলন্ডে প্রতিষ্ঠিত) নবপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় শাখার উদযোগে অনুষ্ঠিত সম্মিলনীর (৩১ জানুয়ারি - ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬) আলোচনাসভায় পাঠের উদ্দেশ্যে লিখিত। সম্মিলনীর বিজ্ঞপ্তি হইতে জানা যায়, ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী প্ৰবন্ধটি ৮ ফেব্রুয়ারি সভায় পাঠ করেন। উক্ত ফেলোশিপ-কর্তৃক প্রকাশিত শিক্ষার ধারা’ নামক প্রবন্ধসংগ্রহে (ভাদ্র ১৩৪৩) প্রবন্ধটি ছাপা হইয়াছিল। চৈত্র ১৩৪২-সংখ্যা প্রবাসী-তে (পৃ ৮২৪) প্রবন্ধটি সম্পর্কে একটি ‘ভ্ৰম-সংশোধন।' মুদ্রিত হয় ; ‘...শেষ বাক্যটিতে (“শুধু উপভোগ করবার উদ্দেশে জগতে জন্মগ্রহণ করে...") “উদ্দেশে” শব্দটির পর “নয়” শব্দটি বাদ পড়ায় অর্থ-বৈপরীত্য ঘটিয়াছে।” বর্তমান রচনাবলীতে (পৃ.৫৬২, ছত্র ৩০) এই ভ্ৰম সংশোধন করিয়া পড়িতে হইবে । ) ৭ প্রবন্ধের সূচনাতেই যে ‘কথা-কাটাকাটির বিষয় উল্লিখিত আছে সেটি প্রধানত চলিয়ছিল বিচিত্রা মাসিক পত্রে ; এই রচনাটি বিচিত্রা-য় প্রকাশিত ‘কথা ও সুর’ প্ৰবন্ধমালার পঞ্চম প্ৰবন্ধ। অন্য পত্রিকাতেও এই সময়ে এই বিষয়ে আলোচনা চলিতেছিল ; এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য : ধূর্জটিপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায়কে লিখিত রবীন্দ্রনাথের ৮ অক্টোবর ১৯৩৭ তারিখের পত্ৰ (পৃ ৬০৭) এবং দিলীপকুমার রায়কে লিখিত ২৯ অক্টোবর ১৯৩৭ তারিখের পত্র (পৃ ৬০৬)। প্রবন্ধটি ইতিপূর্বে দিলীপকুমার রায়ের সাঙ্গীতিকী (১৯৩৮) গ্রন্থে মুদ্রিত হইয়াছে। ৮ অভিভাষণ ১। এই অভিভাষণের উপলক্ষ সংকলনের সূচনাতেই বিজ্ঞাপিত। শ্ৰীচিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই পূর্বমুদ্রিত ভাষণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।