পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や&br রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রবেশ না করিলে, না বুঝিলে, এ আনন্দ ভোগ করিবার উপায় নাই। উপর হইতে চট্ট করিয়া যে সুখ পাওয়া যায়। ইহা তাহা অপেক্ষা স্থায়ী ও গভীর। এবং এক হিসাবে তাহা অপেক্ষা ব্যাপক। যাহা অগভীর, লোকের শিক্ষা-বিস্তারের সঙ্গে, অভ্যাসের সঙ্গে, ক্রমেই তােহা ক্ষয় হইয়া তাহার রিক্ততা বাহির হইয়া পড়ে। যাহা গভীর তাহা আপাতত বহু লোকের গমা না হইলেও বহুকাল তাহার পরমায়ু থাকে, তাহার মধ্যে যে-একটি শ্ৰেষ্ঠতার আদর্শ আছে তাহা সহজে জীর্ণ হয় না। -কৌকাধািবনি। ভাঙ্গ ১৩০৮ C কলাবিদ্যা যেখানে একেশ্বরী সেখানেই তাহার পূর্ণগৌরব। সতীনের সঙ্গে ঘর করিতে গেলে তাহাকে খাটাে হইতেই হইবে। বিশেষত সতীন যদি প্রবল হয়। রামায়ণকে যদি সুর করিয়া পড়িতে হয়, তবে আদিকাণ্ড হইতে উত্তরকাণ্ড পর্যন্ত সে সুরকে চিরকাল সমান একঘেয়ে হইয়া থাকিতে হয় ; রাগিণী হিসাবে সে বেচারার কোনোকালে পদোন্নতি ঘটে না। যাহা উচ্চাদরের কাব্য তাহা আপনার সংগীত আপনার নিয়মেই জোগাইয়া থাকে, বাহিরের সংগীতের সাহায্য অবজ্ঞার সঙ্গে উপেক্ষা করে। যাহা উচ্চ অঙ্গের সংগীত, তাহা আপনার কথা আপনার নিয়মেই বলে, তাহা কথার জন্য কালিদাস-মিলটনের মুখাপেক্ষা করে না— তাহা নিতান্ত তুচ্ছ তোম--তানা-নানা লইয়াই চমৎকার কাজ চালাইয়া দেয়। ] --*な* %* > このs と ছন্দে শব্দে বাক্যবিন্যাসে সাহিতাকে সংগীতের আশ্রয় তো গ্রহণ করিতেই হয়। যাহা কোনোমতে বলিবার জো নাই এই সংগীত দিয়াই তাহা বলা চলে। অর্থ বিশ্লেষ করিয়া দেখিলে যে কথাটা যৎসামান্য, এই সংগীতের দ্বারাই তাহা অসামান্য হইয়া উঠে। কথার মধ্যে বেদনা এই সংগীতই সঞ্চার করিয়া দেয়। অতএব চিত্র ও সংগীতই সাহিত্যের প্রধান উপকরণ। চিত্ৰ ভাবকে আকার দেয় এবং সংগীত ভাবকে গতিদান করে। চিত্ৰ দেহ এবং সংগীত প্ৰাণ। --সাহিত্যের তাৎপৰ্য্য ! অনুগ্রহায়ণ ১৩১০ দেখিয়াছি বাংলায় অনেকগুলি গানের সুর কেমন দেখিতে দেখিতে ইতর হইয়া যায়। আমার বোধ হয় সভ্য দেশে যে যে সুর সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচলিত, তাহার মধ্যে একটা গভীরতা আছে, তাহা তাহদের national air, তাহাতে তাহদের জাতীয় আবেগ পরিপূর্ণভাবে ব্যক্ত হয়। akit Home Sweet Home. Auld lang Syne-4Kitch (* Gish? 4 (31437 Y awitigit সাধারণ-প্রচলিত সুরের মধ্যে গাম্ভীৰ্য নাই, স্থায়িত্ব নাই, ব্যাপকতা নাই। সেইজন্য তাহার কোনোটাকেই national air বলা যায় না। হিন্দুস্থানীতে যে-সকল খাম্বাজ, ঝিঝিটি কফি প্রভৃতি রাগিণীতে শোভন ভদ্রভাব লক্ষিত হয়, বাংলায় সেই রাগিণীই কেমন কুৎসিত আকার ধারণ করিয়া বড় লজ্জা করে পাড়ায় যেতে কেন বল সখি বিধুমুখি।” একে অবলা সরলা’ প্রভৃতি গানে পরিণত হইয়াছে।