পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । W88 কেবল তােহাঁই নহে, আমাদের এক-একবার মনে হয় হিন্দুস্থানী এবং বাংলার উচ্চারণের মধ্যে এই ভদ্র এবং বর্বর ভাবের প্রভেদ লক্ষিত হয়। হিন্দুস্থানী গান বাংলায় ভাঙিতে গেলেই তাহা ধরা পড়ে। সুর তাল অবিকল রক্ষিত হইয়াও অনেক সময় বাংলা গান কেমন ‘রোথো” রকম শুনিতে হয়। হিন্দুস্থানীয় polite 'আ' উচ্চারণ বাংলায় vulgar ‘অ’ উচ্চারণে পরিণত হইয়া এই ভাবাস্তর সংগঠন করে। ‘অ’ উচ্চারণের মধ্যে একটি বেশ নির্লিপ্ত ভদ্র suggestive TR TTTEK, আর ‘অ’ উচ্চারণ নিতান্ত গা-ঘেষা সংকীর্ণ এবং দরিদ্র। কাশীর সংস্কৃত উচ্চারণ শুনিলে এই প্ৰভেদ সহজেই উপলব্ধি হয়। 拿 . ट्र 帝 part *A. F. A NA ෂ :ණ හැ ,, Mago ag *

কলাবান গুণীরাও যেখানে বস্তুত গুণী, সেখানে তাহারা তপস্বীী ; সেখানে যথেচ্ছাচার চলিতে পারে না, সেখানে চিত্তের সাধন ও সংযম আছেই! ...অনেক গুণী দেখা যায়, বাহিরের ক্ষুদ্র ললিতাকে যাহারা আমল দিতে চান না, তাহদের সৃষ্টির মধ্যে যেন একটা কঠোরতা আছে। তাহদের ধ্রুপদের মধ্যে খেয়ালের তিনি নাই। হঠাৎ ukeuuDB BuuDBDB BBD 0S SDBBD DuDB SDuB uBDBBDB eDBDBDD BB BBSDD uHBDSDBB সেই নির্মল বিজ্ঞতার গভীরতর ঐশ্বর্যই বিশিষ্ট লোকের চিত্তকে বৃহৎ আনন্দ দান করে। . ** * : S মিথিলার বিদ্যাপতির গান কেমন করিয়া বাংলা পদাবলী হইয়া উঠিয়াছে তাহা দেখিলেই বুঝা যাইবে- স্বভাবের নিয়মে এক কেমন করিয়া আর হইয়া উঠিতেছে। বাংলায় প্রচলিত বিদ্যাপতির পদাবলীকে বিদ্যাপতির বলা চলে না। মূল কবির প্রায় কিছুই তাহার অধিকাংশ পদেই নাই। ক্ৰমেই বাঙালি গায়ক ও বাঙালি শ্রোতার যোগে তাহার ভাষা, তাহার অর্থ, এমন-কি তাহার রসেরও পরিবর্তন হইয়া সে এক নূতন জিনিস হইয়া দাড়াইয়াছে। গ্রিয়ার্সন মূল বিদ্যাপতির যে-সকল পদ প্রকাশ করিয়াছেন, বাংলা পদাবলীতে তাহার দুটি-চারটির ঠিকানা মেলে, বেশির ভাগই মিলাইতে পারা যায় না। অথচ নানা কাল ও নানা লোকের দ্বারা পরিবর্তন সত্ত্বেও পদগুলি এলোমেলো প্ৰলাপের মতো হইয়া যায় নাই। কারণ, একটা মূলসুর মাঝখানে থাকিয়া সমস্ত পরিবর্তনকে আপনার করিয়া লইবার জন্য সর্বদা সতর্ক হইয়া বসিয়া আছে! সেই সুরটুকুর জোরেই এই পদ-গুলিকে বিদ্যাপতির পদ বলিতেছি, আবার আগাগোড়া পরিবর্তনের জোরে এগুলিকে বাঙালির সাহিত্য বলিতে কুষ্ঠিত হইবার কারণ নাই। ا , . --সাহিতা সুষ্টি। আষাঢ় ১৩১৪ ...গানের যেমন তিনি। তান যতদূর পর্যন্ত যাক-না, গানটিকে অস্বীকার করতে পারে না, সেই গানের সঙ্গে তার মূলে যোগ থাকে। সেই যোগটিকে সে ফিরে ফিরে দেখিয়ে দেয়। গান থেকে তানটি যখন হঠাৎ ছুটি বেরিয়ে চলে তখন মনে হয় সে বুঝি বিক্ষিপ্ত হয়ে উধাও হয়ে চলে গেল বা, কিন্তু তার সেই ছুটে যাওয়া কেবল মূল গানটিতে আবার ফিরে আসবার জন্যেই এবং সেই