পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-কবিতা বিস্ফারিত নাসা চাহে রাণ-ধুম পিতে আজি। কিন্তু হায়! আমনি সে মুখ পানে হেসে চায়, दी छानि की झूम भडि, হীন প্ৰমোদের প্রতি । বীরের ভুকুটিগুলি তখনি মিলায়ে যায়। যে প্রমোদে ঘূণা করি হেসে চাই তারি পানে। অনাহূত হর্ষ এক জাগ্রাতে স্বপনে আসি, শৌর্যের সমাধি-পরে ঢালে রবি-কার রাশি ! কতবার ঘূণি তারে! রমণী সে অবহেলে পৌরুষ নিতেছে। কড়ি বিলাসের জালে ফেলে! কিন্তু সে অধরা হতে অমনি অজস্র স্রোতে ঝরে পড়ে মৃদু হাসি, চুম্বন অমৃত-মাখা আমারে করিয়া তুলে, ভাণ্ডাঘর ফুলে ঢাকা । বীরত্বের মুখ খানি একবার মনে আনি, তার পরে ওই মুখে ফিরাই নয়ন মম, ওই মুখ! একখানি উজ্জ্বল কলঙ্ক সম! ওই তার শ্যাম বাহু আমারে ধরেছে। হায়! অঙ্গুলির মৃদু স্পর্শে বল মোর চলে যায়। মুখ ফিরাইয়া লই- রমণী যেমনি ধীরি মৃদু কষ্ঠে মৃদু কহে, অমনি আবার ফিরি। রোমের আধার মেঘ দেখে যেই মুখ-’পরে, অমনি দু বাহু দিয়ে কণ্ঠ জড়াইয়া ধরে, চুমিয়া সে অশ্রুবারি শুকানো বীজের কাজ। থর থর কেঁপে বলে- “যাও, যাও, যাও চলে!” শ্যামল সৌন্দৰ্য তার হিম-শ্বেত হয়ে যায়। চেয়ে থাকি তার পানে কাতর নয়ন মেলি । আবার ফিরাই মুখ, কটাক্ষেতে চেয়ে রই, কলঙ্কে প্রমোদে মাতি তাহরে টানিয়া লই। একটি বাসনা এই বন্দী এ হািদয়ে মোর। গৌরবে সম্মানে মারি এই এক আছে। আশ, চাহি না করিতে ব্যয় চুম্বনে অন্তিম শ্বাস। বুঝি হায় সে আশাও পুরবে না কোনো কালে রোমীয় মৃত্যুও বুঝি ঘটিবে না। এ কপালে। > R>