পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য S(ሎ፩ The stroke of fate the bravest cannot shun : The great Alcides, Jore's unequal"d son, To Juno's hate, at length resign'd his breath. And sunk the victim of all-conquering death. So shall Achilles fall! Stretch'd pale and dead, No more the Grecian hope, or Trojan dread! Let me, this instant, rush into the fields, And reap what glory life's short harvest yields. Shall I not force some widow'd dame to tear With frantic hands her long dishevel'd hair? Shall I not force her breast to heave with sighs, And the soft tears to trickle from her eyes? Yes, I shall give the fair those mournful charmsIn vain you hold me- Hence my arms, my armsSoon shall the sanguine torrent spread so wide, That all shall know, Achilles swells the tide." রাম লক্ষ্মণের ঔষধ আনিবার জন্য যমপুরীতে গমন করিলেন। সেখানে বালীর সহিত দেখা হইল, বালী কহিলেন —কী হেতু হেথা সশরীরে আজি সংহারিলে মোরে তুমি তুষিতে সুগ্ৰীবে; নাহি জানি ক্ৰোধ মোরা, জিতেন্দ্ৰিয় সবে। পরে দশরথের নিকটে গেলেন; বাহুযুগ, (বক্ষঃস্থল আদ্র অশ্রুজলে) বালী যেমন দেহের সহিত ক্ৰোধ প্রভৃতি রিপু পরিত্যাগ করিয়া স্বর্গে সুখভোগ করিতেছেন, তেমনি দশরথ যদি পৃথিবীর অশ্রুজল পৃথিবীতেই রাখিয়া আসিতেন তো ভালো হইত। শরীর . না থাকিলে অশ্রািজল থাকা অসম্ভব, আমরা তাহা কল্পনাও করিতে পারি না। এমন-কি, ইহার কিছু পরে রাম যখন দশরথের পদধূলি লইতে গেলেন, তখন তাহার পাই খুজিয়া পান নাই। এমন অশরীরী আত্মার বক্ষঃস্থল কীরূপে যে অশ্রুজলে আদ্র হইয়াছিল তাহা বুঝিয়া উঠা কঠিন। যাহা হউক রামের আর অধিক কিছুই নাই। রামের সম্বন্ধে আর-একটি কথা বলিবার আছে। রাম যে কথায় কথায় "ভিখারী রাম” ভিখারী রাম’ করিয়াছেন, সেগুলি আমাদের ভালো লাগে না; এইরূপে নিজের প্রতি পরের দয়া উদ্রেক করিবার চেষ্টা, অতিশয় হীনতা প্ৰকাশ করা মাত্র। একজন দরিদ্র বলিতে পারে ‘আমি ভিক্ষুক আমাকে সাহায্য করো।” একজন নিস্তেজ দুর্বল বলিতে পারে, “আমি দুর্বল, আমাকে রক্ষা করো।” কিন্তু তেজস্বী বীর সেরাপ বলিতে পারেন না; তাহাতে আবার রাম ভিখারীও নহেন, তিনি নির্বাসিত বনবাসী মাত্র। “ভিখারী রাঘব, দৃতি, বিদিত জগতে।” “বাঁচাও করুণাময়, ভিখারী রাঘবে।” ইত্যাদি।