পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 k রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী সুপ্তির, আদেশ করুন, যেরূপে এই বসুমতী আপনার হস্তগত হয়, আমি তাঁহারই অনুষ্ঠান द।' মূল রামায়ণে ইন্দ্ৰজিতের সহিত লক্ষ্মণের যেরূপ যুদ্ধবৰ্ণনা আছে তাহার কিয়দংশ আমরা পাঠকদিগের গোচরার্থে এইখানে অনুবাদ করিয়া দিতেছি। . “তুমি এই স্থানে বয়স কাটাইয়াছ, তুমি আমার পিতার সাক্ষাৎ ভ্রাতা, সুতরাং পিতৃব্য হইয়া কীরূপে আমার অনিষ্ট করিতেছ? জ্ঞাতিত্ব ভ্রাতৃত্ব, জাতি ও সৌহার্দও তোমার নিকট কিছুই নয়। তুমি ধর্মকেও উপেক্ষা করিতেছ। নির্বোধি! তুমি যখন স্বজনকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যের দাসত্ব স্বীকার করিয়াছ তখন তুমি শোচনীয় এবং সাধুগণের নিন্দনীয়। আত্মীয়স্বজনের সহবাস ও অপর নীচ ব্যক্তির আশ্রয় এই দুইটির যে কত অন্তর তুমি বুদ্ধিশৈথিল্যে তাহা বুঝিতেছ না। পর যদি গুণবান হয় এবং স্বজন যদি নিগুণও হয় তবুও নিগুণ স্বজন শ্রেষ্ঠ, পর যে সে পরই। স্বজনের প্রতি তোমার যেরূপ নির্দয়ত, ইহাতে তুমির্জনসমাজে প্রতিষ্ঠা ও সুখ কদাচই পাইবে না। আমার পিতা গৌরব বা প্ৰণয়বশতই হউক তোমাকে যেমন কঠোর ভৎসনা করিয়াছিলেন তেমনই তো আবার সাস্তুনাও করিয়াছেন। গুরু লোক প্রতিভরে অপ্ৰিয় কথা বলেন বটে। কিন্তু অবিচারিত মনে আবার তো সমাদরও করিয়া থাকেন। দেখো, যে ব্যক্তি সুশীল মিত্রের বিনাশাের্থ শত্রুর বৃদ্ধি কামনা করে ধান্যগুচ্ছের সন্নিহিত শ্যামাকের ন্যায় তাহাকে পরিত্যাগ করা উচিত।” ইন্দ্ৰজিৎ বিভীষণকে এইরূপ ভৎসনা করিয়া ক্ৰোধাভরে লক্ষ্মণকে কটুক্তি করিতে লাগিলেন। তখন মহাবীর লক্ষ্মণ রোষাবিষ্ট হইয়া নিৰ্ভয়ে কহিলেন, রে দুষ্ট! কথা মাত্রে কখনো কর্যের পারগামী হওয়া যায় না, যিনি কাৰ্যত তাহা প্রদর্শন করিতে পারেন তিনিই বুদ্ধিমান। তুই নির্বোিধ, কোন দুষ্কর কার্যে কতকগুলি নিরর্থক বাক্য ব্যয় করিয়া আপনাকে কৃতকার্য জ্ঞান করিতেছিস। তুই অন্তরালে থাকিয়া রণস্থলে আমাদিগকে ছলনা করিয়াছিস। কিন্তু দেখ, এই পথটি তস্করের, বীরের নয়। এক্ষণে আত্মশ্লাঘা করিয়া কী হইবে, যদি তুই সন্মুখযুদ্ধে তিষ্ঠিতে পারিস, তবেই আমরা তোর বলবীর্যের পরিচয় পাইব। আমি তোরে কঠোর কথা কহিব না, তিরস্কার কি আত্মশ্লাঘাও করিব না। অথচ বধ করিব। দেখ, আমার কেমন বল বিক্রম। অগ্নি নীরবে সমস্ত দগ্ধ করিয়া থাকেন এবং সূর্য নীরবে উত্তাপ প্ৰদান করিয়া থাকেন। এই বলিয়া মহাবীর লক্ষ্মণ ইন্দ্ৰজিতের সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইলেন। ভারতী फोभून् >२br8 স্যাকসন জাতি ও অ্যাংলো স্যাকসন সাহিত্য এই প্রবন্ধে স্যাকসন জাতির আচার ও ব্যবহার, ভাষা ও সাহিত্য বিস্তুতরূপে বর্ণনা করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম। যে ভিত্তির উপর আধুনিক ইংরাজি মহা-সাহিত্য স্থাপিত আছে সেই অ্যাংলো স্যাকসন ভাষা ও সাহিত্য পরীক্ষা করিয়া দেখিতে এবং যে ভিত্তির উপর সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বরস্বরূপ ইংরাজ জাতি আদীে স্থাপিত, সেই স্যাকসনদের রীতিনীতি সমালোচনা করিয়া দেখিতে আজ আমরা প্ৰবৃত্ত হইলাম। কিডমন, বিউক্সমাস, টেন প্রভৃতির সার সংগ্ৰহ করিয়া আজ আমরা পাঠকদিগকে উপহার দিতেছি। r রোমানেরা ব্রিটনে রাজ্য স্থাপন করিলে পর এক দল শেলট (celt) তাঁহাদের বশ্যতা স্বীকার না করিয়া ওয়েলস ও হাইল্যান্ডের পার্বত্য প্রদেশে আশ্রয় লইল। যাহারা রোমকদের অধীন হইল তাহাদের মধ্যে রোমক সভ্যতা ক্ৰমে ক্ৰমে বিস্তুত হইতে লাগিল। রোমকদের অধিকৃত দেশে