পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য SS পরিণত করিতেন। আমাদের দেশের কবিদের সহিত, কিডমনের স্বপ্ন-আদেশের বিষয় কেমন মিলিয়া গিয়াছে। সৃষ্টির বিষয়ে কিডমন এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন s গুহা-অন্ধকার ছাড়া ছিল না কিছুই! এ মহা অতলস্পর্শ আঁধার গভীরআছিল দাঁড়ায়ে শুধু শূন্য নিস্ফল। উন্নত ঈশ্বর তবে দেখিলা চাহিয়া এই নিরানন্দন্থান! দেখিলা হেথায় অন্ধকার, বিষগ্ন ও শূন্য মেঘরাশি রহিয়াছে চিরস্থির-নিশীথিনী ল’য়ে। উখিত হইল সৃষ্টি ঈশ্বর-আজ্ঞায়। প্রথমে স্বর্গ ও পৃথী করিলা সৃজন। নির্মিলা আকাশ; আর এ বিস্তুত ভূমি সর্বশক্তিমান প্ৰভু করিলা স্থাপন। পৃথিবী তরুণ তৃণে ছিল না হরিত, পথ ছিল সুদূর-বিস্তুত, অন্ধকার! আদেশিলা মহাদেব জ্যোতিরে আসিতে এ মহা আঁধার স্থানে। মুহূর্তে অমনি— ইচ্ছা পূর্ণ হল তার। পবিত্র আলোক এই মরুময় স্থানে পাইল প্ৰকাশ। কিডমন ইজিপ্টের ফ্যারাওর (Pharaoh) যুদ্ধে মৃত্যুবৰ্ণনা করিতেছেন— ভয়ে তাহাদের হৃদি হইল আকুল! পর্বত-শিখর রক্তে হইল রঞ্জিত, পলাল ইজিপ্টবাসী ভয়ে কম্পান্বিত। ধাইয়া তাদের পানে, পড়িল ঝাপিয়া; গৃহে আর কাহারেও হল না ফিরিতে যেথা যায় সেখানেই উন্মত্ত জলধিবিনষ্ট হইয়া গেল তাহাদের বল, । উঠিল ঝটিকা ঘোর আকাশ ব্যাপিয়া, করিল সে শত্রুদল দারুণ চীৎকার! : মৃত্যুর নিদানে বায়ু হল। ঘনীভূত! পাঠকেরা যদি মিলটনের শয়তানের সহিত কিডমনের শয়তানের তুলনা করিয়া দেখেন তবে অনেক সাদৃশ্য পাইবেন। :