পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> brbr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দুৰ্গম-সংসারে যত করি গো ভ্ৰমণ, দিশে দিশে আঁকে, যেন দেখিবারে পাই। । ভাঙি দেয় যৌবনের সুখস্বপ্ন মোর! কখনো বা সেই মনোহর শৈলের প্রতি নির্বাের তটিনী বৃক্ষলতায়, তিনি তাহার বিষগ্ন-মর্মের নিরাশা সংগীত গাহিয়া গাহিয়া বেড়াইতেন- | বিমল বাহিনী ওগো তরুণ-তটিনী। উজ্জ্বল-তরঙ্গে তব, প্ৰেয়সী আমারভক্ত হৃদয়ের মম একমাত্র দেবী সৌন্দর্য র্তাহার যত করেছেন দান! শুন গো পাদপ তুমি, তব দেহ-’পরে ভর দিয়া দাঁড়াইয়া ছিলেন সে দেবী, নত হয়ে পড়েছিল ফুল পত্রগুলি বসনের তলে; বক্ষ সুবিমল তার পরশিয়াছিলে তব সুধা আলিঙ্গনে। তুমি বায়ু সেইখানে বহিতেছ। সদা । যেইখানে প্ৰেম আসি দেখাইলা মোরে প্রিয়ার নয়নে শোভে ভাণ্ডার তাহার! শুন গো তোমরা সবে আর-একবার এই ভগ্ন-হৃদয়ের শেষ দুঃখ-গান! অবশ্য ফিলিবে। যদি ভাগ্যের লিখন । অবশ্যই অবশেষে প্ৰেম যদি মোর অশ্রুময় আঁখিন্দ্বয় করে গো মুদিত, ভ্ৰমিবে যখন আত্মা স্বদেশ আকাশে তখন দেখো গো যেন এই প্ৰিয়-স্থানে অভাগার শেষ-চিহ্ন হয় গো নিহিত ! মরণের কঠোরতা হবে কত হ্রাস, যদি এই প্রিয় আশা, সেই ভয়ানক আনন্তের পথ করে পুষ্প-বিকীরিত ! এই কাননের মতো সুশীতল ছায়া কোথা আছে পৃথিবীতে, শ্রাস্ত আত্মা যেথা এক মুহূর্তের তরে করিবে বিশ্রাম! নাহিকো এমন শাস্ত হরিত-কবর যেখানে সংসার-শ্রমে পরিশ্রাস্ত-দেহ ঘুমাইবে পৃথিবীর দুখ শোক ভুলি! ) বােধ হয় একদিন সে মোর প্রেয়সী। शीॉश-भूलदी (जछे निफ्रूद्ध-नशालू