পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 NRR པ་ཅ་ অনন্ত গভীর কালের জলে।” প্রকৃতির খেদ [ দ্বিতীয় পাঠ ] অমল সলিলা গঙ্গা অই বহি যায় রে। প্ৰদীপ্ত তুষাররাশি, শুভ্ৰ বিভা পরকাশি ঘুমাইছে। স্তব্ধভাবে গোমুখীর শিখরে। ফুটিয়াছে কমলিনী অরুণের কিরণে। নির্বারের এক ধারে, দুলিছে তরঙ্গ-ভরে ঢুলে ঢুলে পড়ে জলে প্রভাত পবনে। হেলিয়া নলিনী-দলে প্রকৃতি কৌতুকে দোলে গঙ্গার প্রবাহ ধায় ধুইয়া চরণ। ধীরে ধীরে বায়ু আসি দুলায়ে অলকরাশি কবরী কুসুমগন্ধ করিছে হরণ। বিজনে খুলিয়া প্ৰাণ, সপ্তমে চড়ায়ে তান, শোভনা প্ৰকৃতিদেবী গান ধীরে ধীরে। নলিনী-নিয়নদ্বয়, প্রশান্ত বিষাদময় । মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস বহিল গভীরে - “অভাগী ভারত হয় জানিতাম যদিবিধবা হাইবি শেষে, তা হলে কি এত কেশে তোর তরে অলংকার করি নিরমাণ। তা হলে কি হিমালয়, গর্কে-ভরা হিমালয়, দাঁড়াইয়া তোর পাশে, পৃথিৱীরে উপহাসে, তুষারমুকুট শিরে করি পরিধান। তা হলে কি শতদলে তোর সরোবর জলে হাসিত অমান শোভা করিয়া বিকাশ, কাননে কুসুমরাশি, বিকাশি মধুর হাসি, , প্ৰদান করিত কি লো অমন সুবাস। তা হলে ভারত তোরে, সৃজিতাম মরু করে