পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা থামিল প্রকৃতি করি অশ্রু বরিষন গলিল তুষারমালা, তরুণী সরসী-বালা ফেলিল নীহারবিন্দু নির্ধারিণীজলে। কঁাপিল পাদপদল, উথলে গঙ্গার জল তরুস্কন্ধ ছাড়ি লতা লুটায় ভূতলে। ঈষৎ আঁধাররাশি, গোমুখী শিখর গ্রাসি । আটক করিল নব অরুণের করা। মেঘরাশি উপজিয়া, আঁধারে প্রশ্ৰয় দিয়া, ঢাকিয়া ফেলিল ক্ৰমে পর্বতশিখর। হায় দুখনিশা তোর, হল না হল না ভোর, হাসিবার দিন তোর হল না আগত। লজ্জাহীনা! কেন আর! ফেলে দে-না অলংকার প্ৰশান্ত গভীর অই সাগরের তলে। পুতধারা মন্দাকিনী ছাড়িয়া মরতভূমি আবদ্ধ হউক পুন ব্ৰহ্ম-কমণ্ডলে। উচ্চশির হিমালয়, প্রলয়ে পাউক লয়, চিরকাল দেখেছে যে ভারতের গতি। কঁদ তুই তার পরে, অসহ্য বিষাদভরে অতীত কালের চিত্র দেখাউক স্মৃতি। দেখ আৰ্য-সিংহাসনে, স্বাধীন নৃপতিগণে স্মৃতির আলেখ্যপটে রয়েছে চিত্রিত। দেখ দেখি তপােবনে, ঋষিরা স্বাধীন মনে, কেমন ঈশ্বর ধ্যানে রয়েছে ব্যাপৃত। কেমন স্বাধীন মনে, গাইছে। বিহঙ্গগণে, , স্বাধীন শোভায় শোভে কুসুম নিকর। সূৰ্য উঠি প্ৰাতঃকালে, তাড়ায় আঁধারজালে কেমন স্বাধীনভাবে বিস্তারিয়া কর। তখন কি মনে পড়ে, ভারতী মানস-সরে কেমন মধুর স্বরে বীণা ঝংকারিত। শুনিয়া ভারত পাখি, গাইত শাখায় থাকি, আকাশ পাতাল পৃথ্বী করিয়া মোহিত। সে-সব স্মরণ করে কঁদুলো আবার! আয় রে প্রলয় ঝড়, গিরিশৃঙ্গ চূর্ণ করা, ধূর্জটি। সংহার-শিঙ্গা বাজাও তোমার। প্রভঞ্জন ভীমবল, খুলে দেও বায়ুদল, ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাক ভারতের বেশি। । ভারত-সাগর রুষি, উগরো বালুকারাশি, Nèk