পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা । আশার দর্পণে মুখ দেখিলি আপন। ঋষিগণ সমস্বরে অই সামগান করে চমকি উঠিছে আহা হিমালয় গিরি। ওদিকে ধনুর ধ্বনি, কঁপায় অরণ্যভূমি নিদ্ৰাগত মৃগগণে চমকিত করি। গাইছে হরষে আহা সুমধুর গীত। বীণাপাণি কুতুহলে, মানসের শতদলে, গাহেন সরাসী-বারি করি উথলিত। সেই-এক অভিনব, মধুর সৌন্দর্য তব, , আজিও অঙ্কিত তাহা রয়েছে মানসে। আঁধার সাগরতলে একটি রতন জ্বলে একটি নক্ষত্র শোভে মেঘান্ধ আকাশে। সুবিস্তৃত অন্ধকূপে, একটি প্রদীপ-রূপে জ্বলিতিসি তুই আহা, নাহি পড়ে মনে ? কে নিভালে সেই ভাতি ভারতে আঁধার রাতি হাতাড়ি বেড়ায় আজি সেই হিন্দুগণে ? এই অমানিশা তোর, আর কি হবে না ভোর কঁদিবি কি চিরকাল ঘোর অন্ধকূপে। অনন্তকালের মতো, সুখসূৰ্য অস্তগত ভাগ্য কি অনন্তকাল রবে এই রূপে। তোর ভাগ্যচক্ৰ শেষে থামিল কি হেতা এসে, , বিধাতার নিয়মের করি ব্যভিচার। আয় রে প্রলয় ঝড়, গিরিশৃঙ্গ চূর্ণ কর, ধূর্জটি ! সংহার-শিঙ্গা বাজাও তোমার। প্রভঞ্জন ভীমবল, খুলে দেও বায়ুদল, ছিন্নভিন্ন করে দিক ভারতের বেশি। ভারতসাগর রুষি, উগরো বালুকারাশি মরুভূমি হয়ে যাক সমস্ত প্রদেশ।” ৭৯৭ আষাঢ় শক। জুন-জুলাই ১৮৭৫ প্রকৃতির খেদ [ প্ৰথম পাঠ ] S विक्टालेिशां ७भिाला, বিধির মানস-বালা, মানস-সরসী ওই নাচিছে হরষে। " % ና "ነS