পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OO ब्रदीक्ष-25नांदकी স্বীকার করিয়া আমি মমতা প্রার্থনা করি না। একজন যে গভীরভাবে বসিয়া বসিয়া আমার অশ্রুজিলের সমালোচনা করিতেছে ইহা জানিতে পারা অতিশয় কষ্টকর। কী! আমি যে কষ্টে কষ্ট পাইতেছি, তাহা কষ্ট পাইবার যোগ্যই নহে; আমার কষ্ট এতই সামান্য, আমি এতই দুর্বল যে অত সামান্য কষ্টেই কষ্ট পাই? এ কথা মনে করিয়া কেহ কেহ হয়তো সত্ত্বনা পাইতেও পারে, আপনার প্রতি ধিক্কার দিতেও পারে ও ক্রমে দুঃখ ভুলিতেও পারে। কিন্তু আমার মতো লোকও তো ঢের আছে, আমার সে সাত্মনাকারীর প্রতি রাগ হয়, মনে হয় কী, আমাকে এত ক্ষুদ্র ঠাহরাইতেছে? তুমি যদি আমার শোকের কারণ দেখিয়া কষ্ট পাইয়া থাক তো আইস, তোমাকে মনে হইয়া থাকে, দুর্বল হৃদয়, অল্পেতেই কষ্ট পাইতেছে, উহাকে একটু থামাইয়া থুমাইয়া দিই, তবে তোমায় কাজ নাই, তোমার সান্তনা দিতে হইবে না। আসল কথাটা এই যে, সাত্বনা অনেক সময় বড়ো বিরক্তিজনক, অনেক সময় মনে হয় যে, আমার নিজের দুঃখের ভাবনা ভাবিবার যেটুকু সময় পাইয়াছি, একজন আসিয়া তাহা মিছামিছি নষ্ট করিয়া দিতেছে মাত্র; দুঃখ ভাবনা ভাবিবার সময় নষ্ট হইলে যে কষ্ট হয় না। তাহা নহে, দুঃখের ভাবনা ভাবিবার সময় লোকে গোলমাল করিতে আসিলে বড়ো কষ্ট হয়, এইজন্যই বিজনে দুঃখের ভাবনা ভাবিতে ভালো লাগে। শোকার্ত ব্যক্তির পক্ষে তাহার দুঃখের কারণ কষ্টের হউক। কিন্তু দুঃখের ভাবনা অনেকটা সুখের, যদি তুমি তাহার দুঃখের কারণ বিনাশ করিতে পার তো ভালো, নতুবা তাহার ভাবনার সময় অলীক সাত্মনা দিতে গিয়া তাহার ভাবনায় ব্যাঘাত দিয়ে না। ভারতী Čb > §tr8 নিঃস্বাৰ্থ প্ৰেম দেখো ভাই, সেদিন আমার বাস্তবিক কষ্ট হয়েছিল। অনেকদিন পরে তুমি বিদেশ থেকে এলে; আমরা গিয়ে জিজ্ঞাসা করলুম। আমাদের কি মনে পড়ত ?” তুমি ঠোঁটে একটু হাসি, চােখে একটু ভুকুটি করে বললে, “মনে পড়বে না কেন? উত্তরটা শুনেই তো আমার মাথায় একেবারে বজ্ৰাঘাত হল; নিতান্ত দুঃসাহসে ভর করে সংকুচিত স্বরে আর-একবার জিজ্ঞাসা করলুম, অনেক দিন পরে এসে আমাদের কেমন লাগছে?” তুমি আশ্চর্য ও বিরক্তিময় স্বরে অথচ ভদ্রতার মিষ্টহ্যাসিটুকু রেখে বললে, “কেন, খারাপ লাগবার কী কারণ আছে?” আর সাহস হল না! ও রকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা আর হল না। বিদেশে গিয়ে অবধি তুমি আমাকে দু-তিনখানা বৈ চিঠি লেখনি, সেজন্য আমার মনে মনে একটুখানি অভিমান ছিল। বড়ো সাধ ছিল, সেই কথাটা নিয়ে হেসে হেসে অথচ আন্তরিক কষ্টের সঙ্গে, ঠাট্টা করে অথচ গভীরভাবে একটুখানি খোটা দেবী, কিন্তু তোমার ভাব দেখে, তোমার ভদ্রতার অতিমিষ্ট হাসি দেখে তোমার কথার স্বর শুনে আমার অভিমানের মূল পর্যন্ত শুকিয়ে গেল। তখন আমিও প্রশ্নের ভাব পরিবর্তন করলুম। জিজ্ঞাসা করলুম, “যে দেশে গিয়েছিলে সে দেশের জল-বাতাস নাকি বড়ো গরম ? সে দেশের লোকের নাকি মন্ত মস্ত পাগড়ি পরে, আর তামাক খাওয়াকে ভারি পাপ মনে করে? এখান থেকে সেকেন্ড ক্লাসে সেখেনে যেতে কত ভাড়া লাগে?” এইরকম করে তোমার কাছ থেকে অনেক জ্ঞান লাভ করে বাড়ি ফিরে এয়েছিলুম! তোমার আচরণ দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। শুনে তুমি লিখেছি যে, ‘প্রথমত আমার যতদূর মনে পড়ে তাতে আমি যে তোমার ওপর প্রকার কুব্যবহার করেছিলুম, তা তো মনে হয় না। দ্বিতীয়ত, যদি বা তোমার কতকগুলি BDBDuBDD DBD D DuD DD DBD DDBD DB BDDBSBDBD DB BzSBS