পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(28○ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী And singing these years for your sake? We two made one, should have power To grow to a beautiful flower, A tree for men to sit under Beside life's flowerless stream; But I without you am only A dreamer fruitless and lonely; And you without me, a wonder In my most beautiful dream. -Arthur O'Shaughnessy ভারতী wwא צ לteH গোলাম-চোর অদৃষ্ট আমাদের জীবনের তাসে অনেকগুলির মিল রাখিয়াছেন, কিন্তু মাঝে মাঝে একটা একটা করিয়া গোলাম রাখিয়া দিয়াছেন, তাহার। আর মিল খুজিয়া পাওয়া যায় না। চিরজন্ম গোলামচোর খেলিয়া আসিতেছি, কত বাজি যে খেলা হইল তাহার। আর সংখ্যা নাই, খেলোয়াড়দের মধ্যে কে জাঁক করিয়া বলিতে পারে যে, সে একবারও গোলাম-চোর হয় নাই ? অদৃষ্টের হাতে সংখ্যা একটি নহে, এমন অসংখ্য গোলাম আছে কাজেই সকলকেই প্ৰায় গোলাম-চোর হইতে হয়। আমরা সকলেই চাই- মিলকে পাইতে ও অমিলকে তাড়াইতে। গোলাম পাইলে আমরা কোনো উপায়ে গলাবাজি করিয়া চালাকি করিয়া প্রতিবেশীর হাতে চালান করিয়া দিতে চাই। উদাহরণ দেওয়া আবশ্যক। মনে করো অ্যাকাউন্টেন্ট জেনেরালের আপিসে গোলাম-চোর খেলা হইতেছে- যতক্ষণ হিসাবে মিল হইতেছে ততক্ষণ কোনো গোলযোগ নাই। প্ৰথম সাহেব খেলোয়াড় যেই অমিলের গোলামটি পাইয়াছেন আমনি এক হাত দু হাত করিয়া সকলের শেষ বাবুটি গোলাম-চোর হইয়া দাঁড়াইলেন। দায়িত্বের গোলামটি কেহই হাতে রাখিতে চায় না। এমন প্রতি বিষয়েই গোলাম-চোর খেলা চলিতেছে। খুব সামান্য দৃষ্টান্ত দেখো। ঘোড়ার নিলামে যাহারা ঘোড়া কেনেন, সকলেই জানেন, যাহার হাতে খোঁড়া ঘোড়ার গোলাম আছে, কেমন কৌশলপূর্বক তোমার হাতে তাহা চালান করিয়া দেয়, যখন টানিবার উপক্ৰম করিয়াছ, তখন হয়তো জানিতে পার নাই, গোলাম টানিয়া চৈতন্য হইল, সেই নিলামেই গোলাম আর-একজনের হাতে চালান করিয়া দিলে। এমন দশ হাত ফিরিয়া জানি না কোন হতভাগ্য গোলাম-চাের হয়। বাপের হাতে একটি অতি কুরাপা কন্যার গোলাম আসিয়াছে, গোলাম-দায়গ্ৰস্ত হইয়া পড়িয়াছেন, বেহাত করিতে পারিলে বাঁচেন, হতভাগ্য বরের হাতে বেমালুম চালান করিয়া দিলেন, বর বেচারি শুভ দৃষ্টির সময়ে দেখিল, সে গোলাম-চাের হইয়াছে। হােমিওপ্যাথি ডাক্তারেরা প্ৰায় গোলাম-চোর হন। তাহারাই নাকি সকলের শেষ খেলোয়াড়- এমন প্রায়ই হয় যে, গোলাম ছাড়া আর কোনো কাগজ আঁহাদের টানিবার থাকে না, অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার হােমিওপ্যাথির হাতে গোলামটি সমর্পণ করিয়া বিদায় হন, তিনি গোলাম-চোর হইয়া ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরেন। অদৃষ্টের হাত হইতে যখন তাস টানি, তখন হয়তো আমার হাতের সকল তাসগুলিই প্রায়