পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिि (88 করিয়া নস্য নামাইয়াছেন ও বর্ণজ্ঞান-সমূদ্র হইতে এক-এক রাশি রত্ন তুলিয়াছেন। পাঠকদিগকে তাহার নমুনা দেওয়া যাইতেছে। * আমাদের বর্ণমালায় পাঁচটি বর্গ আছে, আমাদের জীবনেও পাঁচ ভাগ আছে। কবৰ্গ চবৰ্গ, টবর্গ, তবর্গ, পবর্গ, শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়, বাৰ্ধক্য। কবর্গ, অর্থাৎ শৈশব। (কঁ) দা, (খে)লা, (গে)লা, (ঘ)লাগা ও উ আঁ(ঙ) করা; ইহার অধিক আর কিছুই নহে। চবৰ্গ, কৈশোর। এখন আর গিলিতে হয় না, (চি)বাইতে শিখিয়াছে; গড়াইতে হয় না, (চ)লিতে শিখিয়াছে; (ছুটিাছুটি করিতে পারে। সামাজিকতার বিকাশ আরম্ভ হইয়াছে। পাঁচ জন সমবয়স্কে মিলিয়া (জ)ড়ো হইতে শিখিয়াছে। কিন্তু প্ৰথম সামাজিকতার আরম্ভে (ঝ)গড়া হইবেই। অসভ্যদের মধ্যে দেখো। তাহারা একত্র হইয়া ঝগড়া করে, ঝগড়া করিতেই একত্র হয়। দ্বন্ত্ব শব্দের অর্থ মিলন ও বিবাদ উভয়ই। সামাজিকতা শব্দের অর্থও কতকটা সেইরূপ। বালকেরা ঝগড়া আরম্ভ করিয়াছে। এবং পরস্পরের মধ্যে ঈ আঁ(ঞ) নামক একটা কুঁজ-বিশিষ্ট বক্ৰ-ভাবের ও তদনুযায়ী মুখভঙ্গির আদান-প্ৰদান চলিতেছে। টবর্গ বা যৌবন। এইবার যথার্থ জীবনের আরম্ভ। ইহা পাঁচ বর্গের মধ্যবর্গ। ইহার পূর্বে দুইটি বর্গ জীবনের ভূমিকা; ইহার পরে দুইটি বর্গ জীবনের উপসংহার। এবং এই বৰ্গই জীবন। এইবার (ট) লমল করে তরী; এ পথে যাইব কী ও পথে যাইব ? পথে বিষম (ঠে)লাঠেলি; ভিড়ের মধ্যে সকলেই পথ করিয়া লইতে চায়! (ঠো)কর খাইতেছে (ঠে) কিয়া শিখিতেছে বা শিখিতেছে না। বন্ধন আরম্ভ হইতেছে; যশোর (ডো)রে, প্রেমের (ডো)রে, চির-উদ্দীপিত আশার (ডো)রে মন বাধা পড়িতেছে। যশেরই হউক আর অপযশেরই হউক, চারি দিকে (ঢা)ক (ঢো)ল বাজিতেছে। চােখে নিদ্ৰা নাই, মাঝে মাঝে (ঢ়)লিয়া থাকে মাত্র। ইহা একটি ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকির কাল। যৌবন কাল টঠ অক্ষরের ন্যায় কঠিন দৃঢ়প্রতিষ্ঠ। ‘ক’ ও ‘চ-র ন্যায় কচি নহে তায়ের ন্যায় শিথিল নহে, ‘প ফায়ের ন্যায় একেবারে ওষ্ঠাগত নহে। তবর্গ বা প্রৌঢ় । ‘টায়ে যাহা কঠিন ছিল, “তয়ে তাহা শিথিল (ত)লতোলে হইয়া পড়িয়াছে। এখন (ত) লাইয়া বুঝিবার কাল। যৌবনে উপরে উপরে যাহা চক্ষে পড়িত, তাহাই খাঁটি বলিয়া মনে হইত, এখন না। (ত) লাইয়া কিছু বিশ্বাস হয় না। মনের দরজায় একটা (তা)লা পড়িয়াছে। যৌবনে এক মুহুর্তের তরে দ্বার বন্ধ করা মনে আসিত না; সেই অসাবধানে বিস্তর লোকসান হইয়াছে, এমন-কি, আস্ত মনটি চুরি গিয়াছে এবং সেই ডাকাতির সময় মনের সুখ শান্তি সমুদয় ভাঙিয়া চুরিয়া একেবারে নাস্তানাবুদ হইয়া গিয়াছে। কেহ বা হারানো মন ভাঙাচােরা অবস্থায় উদ্ধার করিতে পারিয়াছেন, কেহ বা পারেন নাই, আস্তে আস্তে দুয়ারে তালা লাগাইয়াছেন। ইহাদের মন (থি)তাইয়া আসিয়াছে, এক জায়গায় আসিয়া (দী)ড়াইয়াছেন; মত বাঁধিয়াছেন, সংসার বাধিয়াছেন, ছেলেমেয়েদের বিবাহে বাধিয়াছেন। মাঝে মাঝে একটা একটা (ধা)কা খাইতেছেন; (যৌবনের ন্যায় সামান্য ঠোকর খাওয়া নহে) উপযুক্ত পুত্ৰ মরিয়া গেল, জামাই যথেচ্ছাচারী হইয়া গিয়াছে, দেনায় বিষয় যায় যায়। অবশেষে তাহার মন (ন)রম হইয়া আসিয়াছে, তাহার শরীর মন (নু)ইয়া পড়িয়াছে। তবর্গে লোকে (তা)স খেলে, (ত)মাক খায়, (দ)লানে বসিয়া (দ)লাদলি করে, (নি)ন্দা করে ও (নি) দ্রা যায়। যৌবনে ঢুলিত মাত্র, এখন (নি) দ্রা আরম্ভ হইয়াছে। যাহা হউক, দন্ত্য ন শেষ হইল, দন্তেরও শেষ হইল। পবর্গ বা বাৰ্ধক্য। শ্ৰীেঢ়ে যাহা নুইতে আরম্ভ করিয়াছিল, এখন তাহার (প)তন হইল। পতিত বৃক্ষকে যেমন সহস্ৰ লতায় চারি দিক হইতে জড়াইয়া ধরে, তেমনি সংসারের সহস্ৰ 'Wদে বৃদ্ধিকে চারি দিক হইতে আচ্ছন্ন করে; ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনী ইত্যাদি। (বি)রাম, స్త్రికా LSLYSSDDDS DD DDD BBB BBB BDB DDS DDD DDBS BDBDB