পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ዓo ब्रदीठ-ब्राष्मावर्डी কত কোটি কোটি মানুয্যের প্রণয় প্ৰেম সৌভ্রাত্র পুত্রীভূত হইয়া জীবন লাভ করিয়া বিরাজ করিতেছে। কত বিশ্বত যুগ-যুগান্তর আমার মধ্যে আজ আবির্ভূত। তাই যখন শুনি আমাদের vo প্রেম যেন তাহারা ইটকাঠের মধ্যে প্রবেশ করিয়া আছে। এমনি বোধ হয়। বিজনে অরণ্যের বৃক্ষ নিতান্ত শূন্য, কিন্তু যে বৃক্ষের দিকে একজন মানুষ চাহিয়াছে, সে বৃক্ষে সে মানুষের চাহনি যেন জড়িত হইয়া গেছে। হইতে যে গাছের তলায় রৌদ্রের বেলায় মানুষ বসে সে গাছে যেমন হরিৎ বর্ণ আছে তেমনি মনুষ্যত্বের অংশ আছে। স্বদেশের আকাশ আমাদের সেই পূর্বপুরুষদিগের প্রেমে পরিপূর্ণ- আমাদের পূর্বপুরুষদিগের নেত্রের আভা আমাদের স্বদেশ-আকাশের তারকার আমাদের দীর্ঘজীবন, আমাদের শতসহস্ৰ বৎসর পরমায়ু। 8 ছেলেবেলা হইতে দেখিয়া আসিতেছি। আমাদের বাড়ির প্রাচীরের কাছে ওই প্রাচীন নারিকেল গাছগুলি সারি বাঁধিয়া দাঁড়াইয়া আছে। যখনই ওই গাছগুলিকে দেখি তখনই উহাদিগকে রহস্যপরিপূর্ণ বলিয়া মনে হয়। উহারা যেন অনেক কথা জানে!, তা নাহিলে উহারা অমান নিস্তৰ দাঁড়াইয়া আছে কেন? বাতাসে আমন ধীরে ধীরে ঘাড় নাড়িতেছে কেন? পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নার সময়ে উহাদের মাথার উপরকার ডালপালার মধ্যে আমন অন্ধকার কেন ? গাছেরা বাস্তবিক রহস্যময়। উহারা যেন বহুদিন দাঁড়াইয়া তপস্যা করিতেছে। এ পৃথিবীতে সকলেই আনাগোনা করিতেছে, কিন্তু আনাগোনার রহস্য কেহই ভেদ করিতে পারিতেছে না। বৃক্ষের মতো যাহারা মাৰািখানে খাড়া হইয়া দাঁড়াইয়া আছে, তাহরাই যেন এই অবিশ্ৰাম আনাগোনার রহস্য জানে। চন্দ্ৰলোকে আপনার গর্তীৰ্থ লইয়া দাঁড়াইয়া আছে। সাঙ্গ হইয়া গেছে, আজ এ গাছ তাহদের কথা কিছুই বলিতেছে না কেন? আরও কত দ্বিপ্রহর মতো অন্ধকারের এখানে-সেখানে একটু-আধটু জড়াইয়া যাইতেছিল; তেমন রাত্রে কেহ কেহ এই জািনলা হইতে নিদ্রাহীন নোত্রে ওই রহস্যময় বৃক্ষশ্রেণীর দিকে চাহিয়াছিল, সে কথা ইহারা আজ মানিতেছে না কেন? সে যে কীভাবে কী মনে করিয়া জীবনের কোন কাজের মধ্যে থাকিয়া ওই গাছের দিকে- গাছ অতিক্ৰম করিয়া ওই আকাশের দিকে- চাহিয়াছিল, ওই গাছে ওই BDBOB0 BBDB BB DBBDBz D BBDL BB LLLBD LLBLYCBSLLLL LLLBL BBYS LL এ বাতায়ন হইতে আমিই উহাদিগকে আজ প্ৰথম দেখিতেছি, যেন কোনো মানুষের জীবনের কোনো কাহিনীর সহিত এ গাছ জড়িত নহে। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়! ওই দেখো, উহারা যেন