পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fift bro আমি সমস্ত দিনরাত্রি এই নীল আকাশের তলে দাঁড়াইয়া আছি- আমি চলিতে পারি না, খুজিতে পারি না, কোথায় কী আছে সকল দেখিতে পাই না। আমি কেবল আকাশের গুটিকত আমারই মতো কঁপিয়া কঁপিয়া উঠে। আমার কাছে দূর বন হইতে ফুলের গন্ধ আসে, কিন্তু সে ফুল আমি দেখিতে পাই না। পল্লবের মর্মর শুনিতে পাই কিন্তু কোথায় সে ছায়াময় বন! শুভ্ৰ ক্ষীণ মেঘ আকাশের উপর দিয়া ভাসিয়া যায়- কিন্তু কোথায় সে যায়! যে পাখি অনেক দূর হইতে উড়িয়া আমার ডালে আসিয়া বসে সে কেন আমাকে জগতের সকল কথা বলিয়া श: न ! আমি এক জায়গায় দাঁড়াইয়া থাকি-যাহার জন্য আমার ফুল ফুটিতেছে মনের সাধামিটাইয়া তাহাকে খুজিয়া বেড়াইতে পারি না। এইজন্য আমি সমস্তদিন ফুল ফেলিয়া ফেলিয়া দিই- আমি দাঁড়াইয়া থাকি কিন্তু আমার সূগন্ধ আমার প্রাণের আশা ঘুরিয়া বেড়ায়। আমার ফুলগুলি আমি বধিয়া রাখি না, তাহারা উড়িয়া যায়। তাহদের আমি জগতে পাঠাইয়াদিই, আমার আনন্দের বার্তা তাহারা দূরে গিয়া প্রচার করিয়া আসে। আমি আমার অজানা অচেনাকে ফুলের অক্ষরে চিঠি লিখিয়া পাঠাই। নিশ্চয় তাহার হাতে গিয়া পৌঁছায়, নহিলে আমার মনের ভার লাঘব হয় কেন? আমি নীলাকাশে চাহিয়া উদ্দেশে আমার প্রিয়তমের চরণে অনুক্ষণ অঞ্জলিপূর্ণ ফুল ঢালিয়া দিই, আমি যেখানে যাইতে পারি না, আমার ফুলেরা সেখানে চলিয়া যায়। ছোটাে মেয়েটি আমার তলা হইতে অবহেলে অমনি একমুঠো। ফুল কুড়াইয়া লয়, মাথায় দুটাে ফুল গুজিয়া চলিয়া যায়। কোথায় কোন নদীর ধারে কোন ছোটাে কুটিরে তাহার ছোটাে ছোটাে সুখদুঃখের মধ্যে আমার ফুলের গন্ধ মিশাইতে থাকে। বৃদ্ধ সকালে সাজি করিয়া আমার ফুল দেবতার চরণে অৰ্পণ করে, তাহার। ভক্তির সহিত আমার ফুলের গন্ধ আকাশে উঠিতে থাকে। আমি প্রতিদিন সকালে যে আনন্দপূর্ণ সূর্যালোক, স্নেহপূর্ণ বাতাস পাই, আমি আমার ফুলের মধ্যে করিয়া সেই আলোক সেই বাতাস ফিরাইয়া দিই। জগতের প্ৰেম আমার মধ্যে ফুল হইয়া ফুটিয়া জগতে ফিরিয়া যায়। আমার যত আছে তত দিই। আরও থাকিলে আরও দিতাম। দিয়া কী হয় ? শুকাইয়া যায় ছড়াইয়া যায়- কিন্তু ফুরাইয়া যায় না, আমার কোল তো শূন্য হয় না, প্রতিদিন আবার আমার প্রাণ ভরিয়া উঠে। প্রতিদিন নূতন প্ৰাণের উচ্ছাস হৃদয় হইতে বাহির করিয়া সূর্যালোকে ফুটাইয়া তুলা, এবং প্রতিদিন আনন্দধারা অজস্রধারে জগতের মধ্যে বিসর্জন করিয়া দেওয়া এই সুখই আমি কেবল জানি; তার পরে আমার ফুল কে চায় আমার ফুল কে গ্রহণ করে, আমার ফুল কে দালন করে আমি তাহার কিছুই জানি না। মনের মধ্যে এই বিশ্বাস যে, আমার এই ফুল ফোটানো ফুল বিসর্জন অবশ্য কিছু না-কিছু কাজে লাগেই। আমার ঝরা ফুলগুলি জগৎ কুড়াইয়া লয়। অতীত আমার ঝরা ফুল লইয়া মালা গাথে। আমার সহস্ৰ ফুল অবিশ্রাম ঝরিয়া ঝরিয়া সুদূর ভবিষ্যতের জন্য এক অপূর্ব নূতন শতদল রচনা করে। জগতের নৃত্যগীত সম্পূর্ণ হইতেছে। আকাশের তারাগুলিও স্বগীয় কল্পতরুর ঝরা ফুল, তাহারা কি কোনো কাজে লাগে না? মালার মতো গাঁথিয়া কেহ কি তাহদের গলায় পরে নাই? কোমল বলিয়া আমার ফুলগুলির উপরে কেহ কি পাও রাখিবে না? আমি জানি আমার ফুলগুলি বরিয়া জননী লক্ষীয় পদ্মাসনের র্যর স্তরের উপায় স্তরে জগৎব্যাপী স্তরের মধ্যে একটি ছোটো পাপড়ি হইয়া আনন্দে বিকশিত হইতে থাকে। W Eins VERTIR SASA