পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विविक्ष । q:b»» কর্ণযুগল, যোেরাপ বিদ্যুৎগতিতে চারি দিকে ধাবমান হইবার ক্ষমতা, সকল জিনিসেই যেরূপ ছিদ্ৰখনন করিবার তৎপরতা এবং যাহা পায় তাহারই টুকরা ষেরাপ সযত্বে নিভৃত গহবরLaboratory-র মধ্যে সঞ্চয় করিবার স্পাহা তাহাতে তাহদের Scientific training সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। বর্তমান প্রবন্ধের ইদুরের উল্লেখ করা যাইতেছে সে বোধ করি স্বভাববৈজ্ঞানিক ইন্দুরবংশে একটি বিশেষ প্ৰতিভাসম্পন্ন মহৎ ইন্দুর। বিস্তর গবেষণায় সে বাজনার পরীক্ষা করিতেছে। বিচিত্র ঐকতানপূর্ণ সংগীতের আশ্চর্য রহস্য ভেদ করিবার চেষ্টা করিতেছে। তীক্ষ দস্তাগ্রভাগ দ্বারা বাজনার বই ক্রমাগত analyse করিতেছে, পিয়ানোর তারের সহিত সহিত analyze করিয়া গেলে সংগীততত্ত্ব বাহির হইয়া পড়িবে। এখন বাজনার বই কাটিতে শুরু করিয়াছে, ক্ৰমে বাজনার তার কাটিবে, কাঠ কাটিবে, বাজনােটাকে শতছিন্দ্ৰ করিয়া সেই ছিদ্রপথে আপনি সরু নাসিকা ও চঞ্চল কীেতুহল প্রবেশ করাইয়া দিবে- মাঝে হইতে সংগীত দেশছাড়া। আমার মনে কেবল এই তর্ক উদয় হইতেছে যে, ইন্দুরকুলতিলক যে উপায় অবলম্বন করিয়াছে তাহতে তার এবং কাগজের উপাদানসম্বন্ধে নূতন তত্ত্ব আবিস্ক্রিয়া হইতে পারে। কিন্তু উক্ত কাগজের সহিত উক্ত তারের যথার্থ যে সম্বন্ধ তাহ কি সহস্ৰ বৎসরেও বাহির হইবে? অবশেষে কি সংশয়পরায়ণ। নব্য ইন্দুরদিগের মনে এইরূপ একটা বিতর্ক উপস্থিত হইবে না যে, কাগজ্ঞ কেবল কাগজ মাত্র, এবং তার কেবল তার- কোনো জ্ঞানবান জীব-কর্তৃক উহাদের মধ্যে যে একটা আনন্দজনক উদ্দেশ্যবন্ধন বদ্ধ হইয়াছে তাহা কেবল প্রাচীন ইন্দুরদিগের যুক্তিহীন সংস্কার; সেই সংস্কারের একটা পরম সফলতা এই দেখা যাইতেছে তাহারই প্ররোচনায় অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়া তার এবং কাগজের আপেক্ষিক কঠিনতা সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা অপূর্ব সংগীতধ্বনি কৰ্ণকুহরে। প্রবেশ করে। সেটা ব্যাপারটা কী? সেটা একটা রহস্য বটে। কিন্তু এই কাগজ এবং তার সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিতে করিতে ক্রমে এই রহস্য শতছিন্দ্ৰ আকারে উদঘাটিত হইয়া যাইবে। dos O bryr কাজ ও খেলা কাজ ও খেলা নামক ৭৩-সংখ্যক প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে আমার কিছু বক্তব্য আছে। श। আসিয়াছে। বংশানুক্রমে তাহারা আমাদের মধ্যে সংক্রামিত সঞ্চিত ও অনুশীলিত হইয়া আসিতেছে। সকল সময়ে আমরা তাহদের হাতে কাজ দিতে পারি না। অথচ কাজ করিবার জন্য তাহারা অহির। সুতরাং যখন তাহাদিগকে সত্যকার কাজে খাটাইবার অবসর পাই না, তখন **ীদের সহিত একটা বোঝাপড়া করিয়া একটা কাজের ভান গড়িয়া তুলি ও এই উশায়ে স্বাকশ্যকের অতিরিক্ত সঞ্চিত উদ্যমকে ছাড়া দিয়া আনন্দ অনুভব করি। অনেক সময়ে দীর্ঘ শালস্যের পর মাংসপেশীয় রুদ্ধ উদ্যমকে দৌড়াদৌড়ি করিয়া খাটাইয়া লইতে ইচ্ছা করি। প্ৰতিদ্বস্থিতার ভান করিয়া হারজিতের খেলা গড়িয়া তাহার চরিতার্থতা সাধন করিতে হয়।