পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈরাগ্যের কথা প্রচলিত, কিন্তু তৎসত্ত্বেও মানুষের প্রতি, সংসারের প্রতি, সৌন্দর্যের প্রতি নিগুঢ় । তিল করিয়া গড়াইয়া জগতের অনন্ত জীবন-উৎসের মুখাদ্ধারে তুলিয়া বিরাট হিন্দুর বিরাট সাধ্য নহে রুদ্ধ করা; যদি বা কিছুকালের মতো কিয়ৎপরিমাণে প্রতিহত থাকে আবার একদিন চতুগুণ বলে সমস্ত বাধা বিদীর্ণ করিয়া শাস্ত্ৰদগ্ধ শুষ্ক শূন্য বিরাট বৈরাগ্যমরুকে প্ৰাণ-স্রোতে আমাদের আর-একটি কথা বলিবার আছে। আজকাল আমরা যখন স্বজাতির গুণগরিমাকীর্তনে প্ৰবৃত্ত হই, তখন আমরা অন্য জাতিকে খাটাে করিয়া আপনাদিগকে বড়ো করিতে চেষ্টা করি। তাহার একটা উপায়, স্বদেশে যে মহােচ্চ আদর্শ কেবল শাস্ত্ৰেই আছে সাধারণের মধ্যে নাই তাহার সহিত অন্য দেশের সাধারণ-প্রচলিত জীবনযাত্রার তুলনা করা। দুঃখের বিষয়, চন্দ্রনাথবাবুর লেখাতেও সেই অন্যায় অনুদারতা প্ৰকাশ পাইয়াছে। তিনি বলিতে চান হিন্দুরা বলিয়াছেন “ক্ষুধায় অন্ন এক মুঠ কম পাইলে, তৃষ্ণায় জল এক গণ্ডুষ কম পাইলে, শীতে একখানি কম্বল কম হইলে, চায়ের বাটিতে এক ফোটা চিনির অভাব হইলে, স্নান করিয়া একখানি বুরুশ না পাইলে, বেশবিন্যাসে একটি আলপিন কম হইলে তাহারা কঁাদিয়া রাগিয়া চেচাইয়া চন্দ্রনাথবাবু যদি স্থিরচিত্তে প্ৰণিধান করিয়া দেখেন তো দেখিতে পাইবেন, আমাদের দেশেও আদর্শের সহিত আচরণের অনেক প্রভেদ। নিগুণ ব্ৰহ্ম হইয়া যাওয়া যদি আমাদের আদর্শ হয় তবে ব্যবহারে তাহার অনেক বৈলক্ষণ্য দেখা যায়। এত দেব এত দেবী এত কাষ্ঠ এত পাষাণ দেশের নরনারীগণ কি প্রতিদিন মৃন্মুর্তির নিকট ধন পুত্র প্রভৃতি। ঐহিক সুখসম্পত্তি প্রার্থনা করিতেছে না ? মিথ্যা মকদ্দমায় জয়লাভ করিবার জন্য তাহারা দেবীকে কি বলির প্রলোভন দেখাইতেছে না? নিরপরাধী বিপক্ষকে বিনাশ করিবার জন্য তাহারা কি দেবতাকে নিজপক্ষ অবলম্বন করিতে স্তুতিবাক্যে অনুরোধ করিতেছে না? তাহারা কি নিজের স্বাস্থ্যের জন্য স্বস্ত্যয়ন ও প্রতিযোগীর ধ্বংসের জন্য হােমযাগ করে না? রািগদ্বেষ হিংসা মিথ্যাব্যবহার এবং বিবিধ কলঙ্কমসি দ্বারা তাহারা কি আপনাদের দেবচরিত্র অঙ্কিত করে নাই ? শাস্ত্রের মধ্যে নিরঞ্জন ব্ৰহ্মা এবং মন্দিরের মধ্যে বিকৃত কল্পনা এমন আর কোথায় আছে। . . . . . . . . " সাধনার বিষয়। জ্ঞান এবং প্রেম, মাধুর্য এবং জ্যোর্তি সমস্ত মানব-সাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত করিয়া দেওয়া তাহার উদ্দেশ্য। তাঁহাদের কবি সেই গান গাহিতেছে, তাহাদের মহাপুরুষ ও মহানারীগণ সেই উদ্দেনে দশান্তরে জীবন বিসর্জন করিতেছে। আবার এদিকে সাধারণের মধ্যে পরের সুখ ছারখার করিতে ইহারা সকল সময়ে বিমুখ নহে। এবং এক দিকে ইহারা হিংস্র৷ দেশের মর্যনির্বাসনে একাকী ধর্মপ্রচার করিতে ও তুষারক . . দুৰ্গম উত্তর মেরুর ' یا iv. ' i. · 高 ل ."