পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা Veie সে দেশে বসন্ত নাই, নাহি এ মলয়! সে দেশে বরষা নাই, নাহি মেঘাচয়। সরলা আছে সে দেশে, তারি। নীল কালো কেশে, খেলে প্রেম ইন্দ্ৰধনুঃ চারু শোভাময়। 幽 · সে দেশে বরষা নাই, নাহি মেঘাচয়। । সে দেশে শরৎ নাই, নাহি শীতভয়। সে দেশে সরলা হাসে, জ্যোছনা তা নীলাকাশে, স্থলে তাহা স্থলপদ্ম, জলে কুবলয়। সে দেশে শরৎ নাই, নাহি শীত ভয়। সে দেশে দিবস নাই, নিশা নাহি হয়। ] সে দেশে সরলা আছে, রবি শশী তারি কাছে, ঘোমটার তলে হাসে, একত্র উভয়। -> er সে দেশে দিবস নাই, নিশা নাহি হয়! হেমেন্দ্ৰপ্ৰসাদবাবু রমণীর অধিকার’ প্ৰবন্ধে যাহা বলিয়াছেন সে সম্বন্ধে তাহার সহিত আমাদের মতের সম্পূর্ণ ঐক্য আছে; কিন্তু যাহাদের সহিত তাহার মতের ঐক্য নাই তাহাদিগকে । পরাভূত করিবার উপযোগী যুক্তি ও প্রমাণবিন্যাস এই ক্ষুদ্রপরিসর প্রবন্ধে সম্ভবপর হইতে পারে না। ‘হেমের অনধিকার’ নামক গল্পে স্ত্রীবিয়োগবিধুর উদভ্ৰান্ত বিলাপকারীদের প্রতি করুণরসমিশ্রিত একটি নিগৃঢ় বিদ্রুপ প্রকাশিত হইয়াছে। অসংযত হৃদয়োচ্ছাসের মধ্যে যে একটি গোপন অলীকতা আছে লেখক সংক্ষেপে তাহার আভাস দিয়াছেন। নির্মাল্য। জ্যৈষ্ঠ (১৩০৫] এই নূতন পত্রের অধিকাংশ গদ্য ও পদ্য প্ৰবন্ধ পূর্ববারের অনুবৃত্তি। শেষ পত্রে প্রকাশিত প্রিয়তমের প্রতি নামক কবিতায় একটি অভূতপূর্ব অসাধারণ নূতনত্ব দেখা গেল; লেখাটি আমরা নাম প্রকাশিত; ওইটুকু নূতন, নির্লজ্জভাবে নূতন! ভারতী SRig Swood नवाडाझउ। ऊाई 9 अक्षाp। [S७०१] এই সংখ্যায় শ্ৰীযুক্ত গোপালচন্দ্ৰ শাস্ত্রী-লিখিত সহরৎ-এ-আম' প্ৰবন্ধটি বিশেষ ঔৎসুক্যজনক। মুসলমান শাসনকালে ভারতবর্ষে পরিক-ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট ছিল—লেখক প্রাচীন গ্রন্থাদি হইতে তাহার প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন। সেই বিভাগের পারসি নাম ছিল সহরিৎ-এ-আম, অর্থাৎ সাধারণের সুবিধা। তাহার এইরূপ কর্তব্য বিভাগ ছিল- ‘১ম, প্রজাসাধারণের কৃষিকাৰ্য ও জলের সুবিধা। ২য়, ডাকখানার বন্দোবস্তু। ৩য়, ঝটিতি শুভাশুভ সমাচার প্রেরণ বা জ্ঞাপন। ৪র্থ সমাচার পত্র প্রকাশ করা। ৫ম, পূর্তবিভাগ অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং” এই ধ্রুবন্ধে তৎকালীন সংবাদপত্র, ও ডাক বন্দোবস্তের যে আলোচনা আছে তাহা কৌতুহলজনক। পয়ঃপ্ৰণালী দ্বারা বহুদূর হইতে বিশুদ্ধ জল আনিবার যে ব্যবস্থা ছিল তৎপ্রসঙ্গে লেখক বলিতেছেন- “এখন Water works-এর সহিত তখনকার জলের কলের প্রভেদ এই যে, ইজিনের ব্যবহার মুসলমানদের সময়ে ছিল না, অথচ ইংরাজের জলের কালের ন্যায় অনায়াসে অনর্গল নির্মল জল মিলিত, সুতরাং প্রজাসাধারণের নিকট হইতে জলের ট্যাক্স লওয়া হইত না।.