পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী তবুও- তবুও সখি তোমারেই শুনাইব তোমারেই দিব সখি যা আছে আমার। দিনু যা মনের সাথে, তুলিয়া লাও তা হাতে ভগ্ন হৃদয়ের এই শ্ৰীতি-উপহার। প্ৰাণ দিয়ে সাধিলেও, পায়ে ধরে কাঁদিলেও এক তিল এক বিন্দু দয়া নাহি হয় হেরিলে গো অশ্রুরাশি, বরষে ঘূণার হাসি, , বিরক্তির তিরস্কার তীব্ৰ বিষময়। এত যদি ছিল মনে, তবে বলে কী কারণে একদিন তুলেছিল স্বর্গের আলয় একদিন স্নেহভরে, মাথা রাখি কোল-’পরে ভগ্নবুকে কেন আর, বজ্ৰ হানে বার বার মনখানা নিয়ে যেন করে ছেলেখেলাগিয়াছে যা ভেঙেচুরে, আর কেন তার পরে মিছামিছি বিধে আহা বাণ বিষময় ! ভেবেছি কাহারো সাথে ভেবেছি কাহারো সাথে মিশিব না। আর কারো কাছে বর্ষিব না অশ্রুবারিধার। মানুষ পরের দুখে, করে শুধু উপহাস জেনেছি, দেখেছি তাহা শত শত বার যাহাদের মুখ আহা একটু মলিন হলে যন্ত্রণায় ফেটে যায় হাদয় আমার তারাই- তারাই যদি এত গো নিষ্ঠুর হল তবে আমি হতভাগ্য কী করিব আর! সত্য তুমি হও সাক্ষী, ধর্ম তুমি জেনাে ইহা ঈশ্বর! তুমিই শুন প্রতিজ্ঞা আমার। যার তরে কেঁদে মরি, সেই যদি উপহাসে তবে মানুষের সাথে মিশিব না। আর।