পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AYOR - রবীন্দ্র-রচনাবলী জনসাধারণকে ত্যাগ করিতে পারিব না। কলিকাতা মুনিসিপাল বিলেও দমন।চেষ্টার লক্ষণ দেখা যায়। এই বিলে কর্তৃপুরুষদিগকে এত অধিক ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে যে তাহারা, আর কোনো প্রকার জবাবদিহির অধীনে নাই। মুনিসিপালিটির অধিকাংশ সভে্যুর হস্তে, কেবলমাত্র শ্মশানঘাট, কবরস্থান, নূতন বাজার স্থাপন, লোকসংখ্যা গণনা, টাকা জমা দিবার ব্যাঙ্ক স্থির করা প্রভৃতি সামান্য বিষয়ের ভার দেওয়া আছে। কথা আছে, মানহানি অপেক্ষা প্ৰাণহানি ভালো, এ বিল যদি পাস হয় তবে আমাদের স্বায়ত্তশাসনের অবশিষ্ট অনুগ্রহকশাটুকুও বিসর্জন দেওয়া শ্রেয়। এক্ষণে, আমাদের কনফারেন্স সভায় যে-সকল কাৰ্য উপস্থিত হইয়াছে। আশা করি আপনারা তাহা দৃঢ়তা ও সংযমের সহিত পরিচালনা করিবেন এবং স্মরণ রাখিবেন রাজা ও প্রজা উভয়েরই প্রকৃত স্বাৰ্থ অবিচ্ছিন্ন অবিরোধী। खाशी আবাঢ় ১৩০৫ শারদ জ্যোৎস্নায় ভগ্নহৃদয়ের গীতোচছুস আবার, আবার, শুনা রে আবার, পীযুষ-ভরা সে প্রেমের গান, আবার, আবার, সে রবে। আমার, মাতিয়ে উঠুক। অবশ্য প্ৰাণ! সুমধুর সুরে বাঁধ রে বীণা, পঞ্চমে চড়ায়ে ললিত তান, আবার, আবার, সে রবে। আমার, মাতিয়ে উঠুক অবশ্য প্ৰাণ! नाहिम उट्रैक क्षगम उाछ, জোছনা-হাসিনী এমন যামিনীবিষাদের মাথে পড়ুক বাজ! প্ৰতিধ্বনি দিল সকল দিক, দিগঙ্গনা মেলি, দিল করতালি, কুহু কুহু করি উঠিল। পিক! ভাবে উজলিল যমুনার জল, কুমুদের মুখে হাসি না ধরে, হরফে পাপিয়া, আকাশ ছাপিয়া, ধরিল সে গীত মধুর স্বরে।