পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ܟܠ অনুমান করিয়া “তঁহার নিকট উপস্থিত করিলে তিনি উহা নিঃসংশয়ে আপনার বলিয়া স্বীকার করেন। বর্তমান প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য, সজনীকান্ত দাস-কৃত ‘রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী’, শনিবারের S DBBBBD SDDDLGLtD LBSBDDDBDD DB CD BBDS tL SSLBBK SDBHDBrLLSS ২. কালীপ্রসন্ন ঘোষ - সম্পাদিত, ঢাকা হইতে প্ৰকাশিত “বান্ধবী মাসিক পত্রিকার মাঘ ১২৮১ সংখ্যায় ‘হােক ভারতের জয়” শীৰ্ষক কবিতাটি প্রকাশিত। রচনা শেষে “(র)’ আদ্যক্ষর মুদ্রিত। হিন্দুমেলা উপলক্ষে এই কবিতাটি রচিত হইয়াছিল’ এই মন্তব্য পাদটীকায় আছে। কবিতাটি রবীন্দ্ৰকান্ত ঘটকচৌধুরী ‘রবীন্দ্রনাথের একটি দুগুপ্ৰাপ্য কবিতা” শিরোনামে ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৮৩ সংখ্যা ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ পুনর্মুদ্রণ করেন। এই কবিতা হিন্দুমেলার উদবোধন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ আবৃত্তি করেন তাহার প্রমাণ Indian Daily News (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫) ও The Bengalee-র প্রতিবেদনে (২০ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫) লক্ষ করা যায়। The Bengalee’ পত্রিকার পরিবেশিত তথ্যানুসারে, কবিতাপাঠের তারিখ y FFTVER S TRYS (Y R GRIFFTs Yvrad), fRVS lIndian Daily News ofÈKF SKIFfSRS সংবাদ অনুসারে কবিতাপাঠের তারিখ ৩০ মাঘ ১২৮১ (১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫) { অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর -রচিত “মিলে সবে ভারত সন্তান” গান হইতে ‘হােক ভারতের জয়’ শিরোনামটি যে রবীন্দ্রনাথ গ্রহণ করেন, তাহা উদধূতি-চিহ্নযুক্ত কবিতা-শিরোনাম হইতে অনুমেয়। ৩. দ্বি-ভাষিক সাপ্তাহিক অমৃতবাজার পত্রিকায় ১৪ ফাল্গুন ১২৮১ (২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫) ‘শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” স্বাক্ষরে হিন্দুমেলায় উপহার” কবিতাটি প্রকাশিত। পত্রিকার পুরাতন ফাইল হইতে ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাটি উদ্ধার করিয়া ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় পুনর্মুদ্রিত করেন। রবীন্দ্রনাথের পূর্ণ-স্বাক্ষরিত সাময়িকপত্রে মুদ্রিত ইহাই প্ৰথম কবিতা। ৪. অস্বাক্ষরিত। কবিতা শেষে ক্রমশঃ’ শব্দটি মুদ্রিত ছিল। পরে অন্য-কোনো পত্রিকায় পরবর্তী অংশ প্রকাশিত হইয়াছিল কি না, এ-বিষয়ে সন্দেহ আছে। বিদ্বজন সমাগম’-এর সভায়, রবিবার ২৭। বৈশাখ ১২৮২ (৯ মে ১৮৭৫) কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ পাঠ করিয়াছিলেন। উল্লেখনীয়, এই সভায় রবীন্দ্রনাথ ‘প্রকৃতির খেদ” কবিতার যে রূপটি আবৃত্তি করিয়া শোনান ‘প্ৰতিবিম্ব’ পত্রিকায় প্রকাশকালে তাহার অনেকখানি পরিবর্তিত হইয়া প্ৰকাশিত হয়। এই পত্রিকায় সম্পাদকীয় টীকা হইতে জানা যায়, “...লেখক প্ৰথমে এই পদ্যটির কপি যেরূপ প্রেরণ করেন, প্রািফ সংশোধনের সময় তাহার অনেক পরিবর্ত করিয়া দেন।. লেখকের সংশোধিত পদ্যটি তৎকালে ‘বিদ্বজন সমাগম’-এর সভা : রবিবার ২৭। বৈশাখ ১২৮২] আমাদের নিকট থাকায় অসংশোধিত কাপিখানি দেখিয়া অৰ্দ্ধাংশমাত্র মুদ্রিত করিয়া বিদ্বজনসমাগম’। সভায় প্রদান করা হয়। এ জন্য রচয়িতার এই সংশোধিত রচনার সহিত সভার মুদ্রিত রচনার স্থানে স্থানে অনেক প্রভেদ লক্ষিত হইবে।” ৫. বালকের রচিত।” এই উল্লেখ শিরোনামের নীচে মুদ্রিত। সজনীকান্ত দাস মুদ্রিত কবিতাটি শনিবারের চিঠি-র অগ্রহায়ণ ১৩৪৬ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী’তে লিখিয়াছেন, “আশ্চর্যের বিষয়, রবীন্দ্রনাথকে দেখাইতেই তিনি ইহার কয়েক পংক্তি মুখস্থ বলিতে পারিলেন, যদিও দীর্ঘ চৌষটি বৎসরের পূর্বেকার কথা।.” এই কবিতা যে রবীন্দ্রনাথ-রচিত তাহার আরও প্রমাণ, অক্ষয়চন্দ্র সরকার -সম্পাদিত “সাধারণী” ৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৮২ সংখ্যায় প্রকাশিত সংবাদ- “বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘প্রকৃতির খেদ” নামে স্বরচিত একটি পদ্যপ্ৰবন্ধ পাঠ করেন।...’ প্ৰবোধচন্দ্র সেন সম্পূর্ণ সংবাদটি ‘রবীন্দ্রনাথের বাল্যরচনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে (প্ৰকাশ, দেশ, ১৬ চৈত্র ১৩৫২) সংকলন করিয়াছেন। ইহা ছাড়া, ১২৮২ বঙ্গাব্দের ২ জ্যৈষ্ঠ