পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዪabሆ যতিনাথ ঘোষ কবিতাটি যথার্থভাবে নিরাপণ করিয়া ব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাসকে জানান। বর্তমান প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য, ব্ৰজেন্দ্রনাথের “রবীন্দ্ৰ-গ্ৰন্থ-পরিচয়’ (সং মাঘ ১৩৫০) ও সজনীকান্ডের “রবীন্দ্রনাথ / জীবন ও সাহিত্য’ (১৩৬৭) গ্রন্থ। উভয় স্থলেই কবিতাটি সংকলিত। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যাইতে পারে, প্রশান্তচন্দ্ৰ মহলানবিশের সঙ্গে আলোচনাকালে রবীন্দ্রনাথ ‘ধূতরাষ্ট্রের বিলাপ'/‘ধূতরাষ্ট্র বিলাপ’ নামে একটি কবিতা ("লর্ড লিটনের সময়ের কবিতা”) হিন্দুমেলায় পাঠ করিয়া প্ৰশংসা অর্জন করিয়াছিলেন, অস্পষ্টভাবে এইটুকু স্মরণ করিতে পারিয়াছিলেন। কবিতাটির সন্ধান এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই - দ্রষ্টব্য, রবীন্দ্রনাথ’, প্রশান্তচন্দ্ৰ মহলাবিশ, দিনলিপি। রবীন্দ্রবীক্ষা’, সংকলন Rbr, SKS Y 8 o SR Ο Σ. অস্বাক্ষরিত। “ভারতী’ পত্রিকার প্রথম কয়েক বৎসরের অস্বাক্ষরিত রবীন্দ্ররচনা তালিকাবদ্ধ করিয়া সজনীকান্ত দাস রবীন্দ্রনাথকে দিয়া যে অনুমোদন করাইয়া লইয়াছিলেন, তাহাতে এই কবিতাটি আছে। রবীন্দ্ৰনাথের জীবৎকালেই “শনিবারের চিঠি’র অগ্রহায়ণ ১৩৪৬ সংখ্যায় প্রকাশিত সজনীকান্ত-কৃত ‘রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী” প্রবন্ধে "ভারতী’ কবিতার নাম তালিকাবদ্ধ হইয়াছে। S R. SV. S 8. শিল্পী ত্ৰৈলোক্যনাথ দেব। --অঙ্কিত ‘ভারতী’ পত্রিকার প্রচ্ছদ-চিত্রের সহিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাটির ভাব-সামঞ্জস্য লক্ষণীয়। অস্বাক্ষরিত। সজনীকান্ত দাসের পূর্ব-উল্লিখিত তালিকা এবং ‘রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী’-ভুক্ত। পরবর্তীকালে ‘মালতী পুথি'তে ইহার প্রাথমিক রূপটির সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার -প্ৰকাশিত (১৩৯০) ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী', তৃতীয় খণ্ডে সংকলিত। অস্বাক্ষরিত। প্রশান্তচন্দ্ৰ মহলানবিশের ‘রবীন্দ্ৰ-পরিচয়” প্ৰবন্ধাবলির (প্ৰকাশ “প্রবাসী', মাঘ-চৈত্র ১৩২৮, জ্যৈষ্ঠ ১৩২৯, আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩২৯) রচনাপ্রকাশ’ অধ্যায়ে রবীন্দ্ৰরচনা হিসাবে চিহ্নিত। দ্রষ্টব্য, প্রসঙ্গ ‘রবীন্দ্রনাথ’ (১৩৯২) গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথ-সমর্থিত, সজনীকান্ত দাস -কৃত তালিকাতেও রচনাটির নাম পাওয়া যায়। ‘পুষ্পাঞ্জলি’র পাণ্ডুলিপিতে কবিতাটির আদিরূপের সন্ধান পাওয়া যায়, সেখানে ৩৬টি ছত্ৰে কবিতাটি শেষ হইয়াছে। “বালক’ পত্রিকায়, কবিতাটির মুদ্রিত রূপে দেখা যায় ৭৬টি ছত্ৰে সমাপ্ত। পাণ্ডুলিপি ও পত্রিকা - ধৃত আকুল আহ্বান’-এর মধ্যে নানাবিধ পার্থক্য আছে। “কড়ি ও কোমল” কাব্যের প্রথম সংস্করণে (১২৯৩) রবীন্দ্রনাথ কবিতাটিকে বিভিন্ন শিরোনামে, নানারূপ গ্ৰহণ-বর্জনের মধ্য দিয়া তিনটি স্বতন্ত্র কবিতায় পরিণত করিয়াছেন। কবিতাগুলি যথাক্রমে, ‘আকুল আহবান’, ‘পাষাণী মা’, ‘মায়ের আশা’। পরবর্তীকালে প্ৰকাশিত ‘শিশু’ কাব্যে ‘আকুল আহবান’ ও ‘মায়ের আশা’ সংকলনকালে রবীন্দ্রনাথ পুনরায় সম্পাদনা করিয়াছেন। এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে, পত্রিকা হইতে গ্রন্থে সংকলনকালে কবিতমধ্যস্থ ব্যক্তিগত প্ৰসঙ্গ ক্রমশ বর্জিত হইয়াছে। 6. “রবীন্দ্ৰপাণ্ডুলিপি-বিবরণ/পুষ্পাঞ্জলি”, ‘বিশ্বভারতী পত্রিকা’, শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৭৫ এবং ‘রবীন্দ্ৰপাণ্ডুলিপি-পরিচয়” (প্ৰকাশ ১৩৯৮) গ্রন্থ। ১৫. মালতীপুথি'তে শিরোনামহীন অবস্থায় কিঞ্চিৎ ভিন্নতর পাঠে কবিতাটি পাওয়া যায়। রচনার স্থান কাল রবীন্দ্রনাথ লিখিয়া রাখিয়াছেন “Ahmedabad/1878-July 6th / আষাঢ় ২৩শে [১২৮৫), শনিবার।” প্ৰবোধচন্দ্র সেন রবীন্দ্ৰ-জিজ্ঞাসা’ প্ৰথম খণ্ডে (প্রকাশ, কীর্তিক ১৩৭২), ‘মালতীপুথি/পাণ্ডুলিপি-পরিচয়” প্রবন্ধে রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার -প্ৰকাশিত শতবার্ষিক সংস্করণ রবীন্দ্র-রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ডে