পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ዓby› Reyes re-raf' Thomas Chatterton (1752-1770)-4s friarpfels সহিত রবীন্দ্রনাথের পরিচয় অক্ষয়চন্দ্ৰ চৌধুরীর সূত্রে পূর্বেই ঘটিয়াছিল। চ্যাটার্টনের পদাঙ্ক অনুসরণে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী রচনার যে সূত্রপাত হইয়াছিল, “জীবনস্মৃতি” গ্রন্থের এই তথ্য আমাদের নিকট পরিজ্ঞাত। এই গ্রন্থের ‘ভানুসিংহের কবিতা’ অধ্যায়ে রবীন্দ্রনাথ জানাইয়াছেন, ‘ইতিপূর্বে অক্ষয়বাবুর কাছে ইংরেজ বালককবি চ্যাটার্টনের বিবরণ শুনিয়াছিলাম।. প্রাচীন কবিদের এমন নকল করিয়া কবিতা লিখিয়াছিলেন যে অনেকেই তাহ ধরিতে পারে নাই। অবশেষে যোলো বছর বয়সে এই হতভাগ্য বালককবি আত্মহত্যা করিয়া মরিয়াছিলেন। আপাতত ঐ আত্মহত্যার অনাবশ্যক অংশটুকু হাতে রাখিয়া, কোমর বঁধিয়া দ্বিতীয় চ্যাটার্টন হইবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইলাম।” স্বদেশে চ্যাটার্টনের কবিতা পাঠের সুযোগ রবীন্দ্রনাথের ঘটিয়াছিল কি না জানা যায় না, তবে ইংল্যান্ডে থাকাকালীন এই অকালমৃত কবির রচনার সহিত তাহার যে পরিচয় ঘটে, তাহার প্রমাণ আলোচ্য প্রবন্ধে চ্যাটার্টন-রচিত তিনটি কাব্যাংশের অনুবাদ। “ভারতী’ পত্রিকায় এই প্রবন্ধের শেষে ক্রমশঃ’ থাকিলেও প্ৰবন্ধটি সম্পূর্ণ হয় নাই। ১০-১১, এই দুটি প্রবন্ধের সম্পাদিত রূপ ‘নীরব কবি ও অশিক্ষিত কবি, সমালোচনা (১২৯৪) S NR. SW). খণ্ডে সংকলিত। “বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার পৌষ ১২৮২ সংখ্যায় প্রকাশিত লেখকের স্বাক্ষরহীন প্ৰবন্ধ “বাঙালি কবি কেন” এবং “বান্ধব’ পত্রিকার মাঘ ১২৮১ সংখ্যায় প্রকাশিত কালীপ্রসন্ন ঘোষের নীরব কবি’ পাঠ করিয়া রবীন্দ্ৰনাথ “ভারতী’ পত্রিকায় কতকটা প্ৰতিবাদ করিয়াই সাহিত্যতত্ত্বমূলক এই দুটি প্রবন্ধ রচনা করেন। “বাঙালি কবি নয়।” প্রবন্ধে প্রসঙ্গক্রমে রবীন্দ্রনাথ Christopher Marlow -রচিত 'The Passionate Shepherd to His Love' **í* TsSÍS *í বঙ্গানুবাদ করিয়াছেন। ‘বাঙালি কবি নয় কেন?” প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ সমকালীন বাংলাসাহিত্য হইতে উদাহরণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন। সাহিত্যতত্ত্বমূলক প্ৰবন্ধ হিসাবে এই দুটি প্ৰবন্ধকে রবীন্দ্ররচনার মধ্যে অগ্ৰাধিকার দেওয়া যাইতে পারে। ইহার সূত্রপাত অবশ্যই ‘জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব’ পত্রিকার কাৰ্তিক ১২৮৩ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘ভুবনমোহিনী প্রতিভা, অবসরসরোজিনী ও দুঃখসঙ্গিনী’ কাব্যত্ৰয়ের সমালোচনামূলক প্ৰবন্ধ রচনার মধ্য দিয়া। রচনাশেষে ‘শ্ৰীরঃ” আদ্যক্ষর মুদ্রিত। সম্পূর্ণ প্ৰবন্ধটি রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রন্থভুক্ত না হইলেও প্রথম অনুচ্ছেদটির সম্পাদিত রূপ সত্যের অংশ’ নামে সমালোচনা’ (১২৯৪) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথ-লিখিত এই ‘প্রত্যুত্তর’, ভারতী পত্রিকার আষাঢ় ও শ্রাবণ ১২৮৯ দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত, অক্ষয়চন্দ্ৰ চৌধুরী -রচিত (শ্ৰী অঃ' আদ্যক্ষরে) “দেশজ প্রাচীন কবি ও আধুনিক কবি' (প্রথম প্রস্তাব, দ্বিতীয় প্রস্তাব)। শিরোনামে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ প্ৰবন্ধের বক্তব্যের উত্তর। অক্ষয়চন্দ্র সরকার নবজীবন’ পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১২৯৩ সংখ্যায় কাব্যি-সমালোচনা’ নামে একটি ব্যঙ্গধর্মী সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথের নাম অনুচ্চারিত রাখিয়া কুয়াসার প্ৰহেলিকায়, নিরাশার প্রহেলিকায় বঙ্গসাহিত্যে গো-ধূলি গোধূলি করিবার চেষ্টার যে অভিযোগ আনেন, বস্তুত তাহারই প্ৰতিবাদে রবীন্দ্রনাথের এই প্ৰবন্ধ। বিশ্বভারতীপ্রকাশিত সাহিত্য’ (১৩৬১) গ্রন্থের সংযোজন অংশে এই প্ৰবন্ধ সংকলিত হইয়াছে। ১৪-১৬. তিনটি প্রবন্ধই কাব্য : স্পষ্ট ও অস্পষ্ট' প্ৰবন্ধের সূত্রে লিখিত। সাহিত্য’ (১৩৬১) গ্রন্থের সংযোজনাভূক্ত।