পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় | ave ২৬. একটি পত্র। সাহিত্য, কীর্তিক ১২৯৯ । সুরেশচন্দ্র সমাজপতিকে ‘সুহ্যদ্বরেষু। এই সম্বোধনে লিখিত হইলেও এটি প্রবন্ধের মর্যাদা পাইতে পারে। রবীন্দ্রনাথের কোনো প্ৰবন্ধ পাঠ করিয়া সুরেশচন্দ্ৰ অসন্তোষ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহারই প্রসঙ্গে পত্রাকারে এই প্ৰবন্ধ। ২৭. বাংলা লেখক। সাধনা। মাঘ ১২৯৯। সাহিত্য” গ্রন্থের (১৩৬১) সংযোজন অংশভুক্ত। ২৮-২৯. সাধনা’ শ্রাবণ ১২৯৯ সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের ‘হিং টিং ছট’ কবিতা প্ৰকাশিত হইলে নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত “সাহিত্য’ ফাল্গুন ১২৯৯ সংখ্যায় তর্কবৈচিত্র্য’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধে ‘হিং টিং ছট’ কবিতাটি চন্দ্রনাথ বসু ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে বিতর্কের সূত্রে রচিত, এইরূপ মন্তব্য করেন। সামাজিক মতামত বিষয়ে চন্দ্রনাথ বসুর সহিত রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ইতিপূর্বেই নানা কারণে তিক্ত থাকায় এই কবিতা প্ৰকাশকে কেন্দ্ৰ করিয়া তাহা আরও জটিল হইয়া উঠে। তৰ্কবৈচিত্র্য’ প্ৰবন্ধে লেখকের নাম না থাকায় রবীন্দ্রনাথ রচনাটি সুরেশচন্দ্র সমাজপতি -কর্তৃক লিখিত, এই অনুমানে তাহার নিকট যে প্রতিবাদপত্রটি পাঠান সুরেশচন্দ্র সেটি “সাহিত্য’ পত্রিকায় না ছাপাইয়া, রবীন্দ্রনাথকে একটি ব্যক্তিগত পত্রে তাহার উত্তর দেন। ইহা হইতে রবীন্দ্রনাথের ধারণা হয়, “তিনি তাহা প্রকাশ করিয়া তাহার পাঠকদের অন্যায় সন্দেহ মোচন করা কর্তব্য বোধ করেন নাই।” ফলে, “সাধনা পত্রিকা আশ্রয় করিয়া”, চৈত্র ১২৯৯ সংখ্যায় সাহিত্য-পাঠকদের প্রতি’ শীর্ষক এই রচনাটি প্রকাশ করিয়া তাহার বক্তব্য জানান। অতঃপর, সাহিত্য’ বৈশাখ ১৩০০ সংখ্যায়, পুরী হইতে ৬ ফাল্গুন ১২৯৯ প্রকাশিত হয়। এই পত্রের পাদটীকায় সাহিত্য-সম্পাদকের যে দীর্ঘ মন্তব্যটি মুদ্রিত হইয়াছিল, তাহা এ স্থলে সংকলিত হইল “গত বর্ষের একাদশ-সংখ্যক সাহিত্যে তর্কবৈচিত্র্য” নামক একটি প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হয়। সেই প্ৰবন্ধ প্রসঙ্গে মাননীয় শ্ৰীযুক্ত বাবু রবীন্দ্র ঠাকুর মহাশয়ের এই পত্র। কিন্তু, এই পত্র, সাহিত্য সম্পাদককে কেন লেখা হইল, তাহা কেবল এক রবীন্দ্রবাবু ব্যতীত আর কাহারও বুঝিতে পারিবার সম্ভাবনা নাই। কিন্তু দূৰ্ভাগ্যবশতঃ সে কথা তিনি কিছুই বুঝাইয়া বলেন নাই। রবীন্দ্রবাবু কোন বনিয়াদে আমাদিগকে তর্কবৈচিত্র্যের লেখক স্থির করিলেন? ইহা তাহার কবিজনে৷াচিত স্বল্প হইতে পারে, কিন্তু ইহার মধ্যে কবিত্ব কিছুই নাই! সুতরাং, পুরাতন বা তঁহার নবাবিষ্কৃত সত্যও নাই। তৰ্কবৈচিত্ৰ্য প্রবন্ধ আমরা নিজে লিখি নাই। অতএব, তাহার মতামতের জন্য আমরা দায়ী নাহি। সে বিষয়ে রবীন্দ্রবাবুর যাহা কিছু বক্তব্য, তাহ প্ৰবন্ধকারে ও প্রাসঙ্গিকভাবে লিখিয়া পাঠানই DDBDBBB DD D DB DD BDB DB DDD DBDDBB BDDB BDBB করিয়া এই পত্র লেখেন ও প্রকাশিত করিতে অনুরোধ করেন। পরের কথা যাহাঁই হউক, প্রথমেই রবীন্দ্রবাবুর এই বিষম ভ্ৰম। পত্র প্রকাশিত করিয়া, তাহার এই ভ্ৰম প্রদর্শন করা আমাদের ইচ্ছা ছিল না; আর সেই জন্যই তােহর পত্র আমরা প্রকাশিত না করিয়া, পত্রের দ্বারা পত্রের প্রত্যুত্তর দিয়াছিলাম। কিন্তু রবীন্দ্রবাবু তাহাতে সন্তুষ্ট নহেন। উপস্থিত বিষয়ে যে তিনি বিষম ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন, তাহা প্রকাশিত না হইলে কিছুতেই তিনি নিরস্ত হইবেন না। কাজেই অগত্যা আমরা, তাহার পত্র, প্রকাশের উপযুক্ত না হইলেও, প্ৰকাশ করিলাম। প্রকাশ করিলাম কেবল তাহারও অনুরোধে এবং সাধনায় অযথা দোষারোপের জন্য। নাহিলে, বহুদিনাবধি সাময়িকপত্রের লেখক ও কিয়ৎ . পরিমাণে পরিচালক হইয়া রবীন্দ্রবাবু এরাপ বেতালা পত্র লিখিতে কুষ্ঠিত হয়েন না এবং তাহা প্ৰকাশ করিবার জন্য অনুরোধ করেন, ইহা সাধারণ্যে প্ৰকাশ করা তাহার সন্মানের পরিচায়ক নহে। ] '