পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ૧૪ ২২. হিন্দুদিগের জাতীয় চরিত্র ও স্বাধীনতা রবীন্দ্রবীক্ষা ১, শ্রাবণ ১৩৮৩, রচনা : ১৮৮৮ ২৩. স্ত্রী ও পুরুষের প্রেমের বিশেষত্ব দেশ, শারদীয় ১৩৫৩, রচনা : ১৮৮৮ ২৪. আমাদের সভ্যতায় বাহ্যিক ও মানসিকের অসামঞ্জস্য দেশ, শারদীয় ১৩৫২, রচনা : ১৮৮৮ ২৫. সমাজে স্ত্রী-পুরুষের প্রেমের প্রভাব পারিবারিক স্মৃতিলিপি পুস্তক, রচনা : ১৮৮৮ ২৬. আমাদের প্রাচীন কাব্যে ও সমাজে স্ত্রী-পুরুষ প্রেমের অভাব দেশ, শারদীয় ১৩৫৩, রচনা : ১৮৮৮ RA. Chivalry দেশ, শারদীয় ১৩৫৩, রচনা : ১৮৮৮ ২৮. নব্যবঙ্গের আন্দোলন ভারতী ও বালক, ভাদ্র ও আশ্বিন ১২৯৬ ১. বাঙালির আশা ও নৈরাশ্য’ প্ৰবন্ধটি ও একই সংখ্যায় মুদ্রিত ‘বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব’ রচনা দুইটিকে সজনীকান্ত দাস শনিবারের চিঠি, আগ্রহায়ণ ১৩৪৬-সংখ্যায় ‘রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী’তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াও মন্তব্য করিয়াছেন, “রচনা দুইটি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের সংশয় আছে'; কিন্তু তাহার ‘রবীন্দ্রনাথ ; জীবন ও সাহিত্য’ (১৩৬৭) গ্রন্থে এই বাক্যটি বাদ দিয়াছেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। ইহাদের উল্লেখই করেন নাই। পুলিনবিহারী সেন রবীন্দ্রনাথসম্পাদিত সাময়িক পত্র’ (দেশ, শতবর্ষপূর্তি সংখ্যা ১৩৬৯) প্রবন্ধের পরিশিষ্টে প্রদত্ত “ভারতী প্রথম বর্ষে প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনার সূচীতে উক্ত রচনাদ্ধয় অন্তর্ভুক্ত করিয়া প্ৰবন্ধ দুইটি পুনর্মুদ্রিত করিয়াছেন। ‘বাঙালির আশা ও নৈরাশ্য’ প্ৰবন্ধটি রবীন্দ্রনাথের লেখা হইলেও ‘বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব’ বিষয়ে কিছু সংশয় আছে। প্রশাস্তচন্দ্ৰ মহলানবিশ Golden Book of Tagore {1931}-এ 'বাঙালির আশা ও নৈরাশ্য’ প্ৰবন্ধটিকেই তাহার রচনা বলিয়া চিহ্নিত করিয়াছেন। ‘বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব’ প্ৰবন্ধটি অবশ্য এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট বিভাগে সংকলিত হইল। ২. ইংরাজদিগের আদব-কায়দা’ প্ৰবন্ধটি প্রথমবার বিলাতযাত্রার আগে আমেদাবাদে অবস্থানের সময়ে লেখা। বিলাতযাত্রার প্রস্তুতি হিসাবে সেখানকার সামাজিক রীতিনীতির সহিত পরিচিত হইবার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্ৰনাথ যে-সকল ইংরেজি গ্রন্থ পাঠ করিতেছিলেন, তাহা অবলম্বন করিয়া প্ৰবন্ধটি রচিত হইয়াছে ইহা মনে করা যাইতে পারে। ১. নিন্দা-তত্ত্ব' প্ৰবন্ধটি সম্পর্কে সজনীকান্ত দাস লিখিয়াছেন, ‘প্ৰবন্ধটি সম্পূর্ণ চলতি ভাষায় ( যুরোপযাত্রী কোন বঙ্গীয় যুবকের পত্রের ভাষায়) লিখিত হইলেও এতৎসম্পর্কে আমি নিঃসংশয় নাহি৷” কিন্তু প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাহার ‘রবীন্দ্রনাথের বাল্যরচনা : কালানুক্রমিক সূচী’-তে (দ্র রবীন্দ্ৰ-জিজ্ঞাসা ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৫) প্ৰবন্ধটিকে নিঃসন্দিগ্ধভাবে তালিকাভুক্ত করিয়াছেন, কিন্তু কোনো যুক্তি দেখান নাই। তবু কয়েকটি কারণে রচনাটিকে রবীন্দ্রনাথের লেখা বলিয়া চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত, সামান্য একটি বক্তব্যের ক্ষীণ সূত্র ধরিয়া কথার জাল বুনিয়া বুনিয়া একটি প্ৰবন্ধ তৈয়ারি করার যে-প্রবণতা তাহার পরবর্তীকালের যথার্থ দোসর’, ‘গোলাম চাের” প্রভৃতি রচনাগুলিতে দেখা যায়, নিন্দাতত্ত্ব"-কে তাহারই পূর্বসূরী বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। দ্বিতীয়ত, সমকালীন ও অল্প-কিছু পরবর্তীকালের লেখকদের মধ্যে গুরুচণ্ডালী দোষ না ঘটাইয়া চলতি ভাষায় গদ্যরচনী প্ৰায় বিরল এবং যে-দোষ হইতে রবীন্দ্রনাথ প্রথমাবধিই সম্পূর্ণ মুক্ত-আলোচ্য রচনাটিতে সেই বিশুদ্ধ চলতি ভাষার পরিচয় পাওয়া যায়। তৃতীয়ত, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের । যে-বিরাপ্যতার সাক্ষাৎ স্থানে-অস্থানে পাওয়া যায়, বর্তমান রচনাটিতেও তাহা উপস্থিত।