পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳS3 >○。 Σ Σ. .ܮ ܠ शदीक्ष-ख़ानांवर्दी ব্যবস্থা” এবং অব্যবহিত পরবতীকালে রচিত জিহবা আস্ফালন”, “ন্যাশনাল ফন্ড", করেন নাই। জিহবা আস্ফালন” রচনাটি স্বাক্ষরবিহীন। হাইকোর্টের জজ নরিস সাহেবের অভিযোগক্রমে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত অবমাননার দায়ে দুই মাস কারাদণ্ড ভোগ করিয়া ৪ জুলাই ১৮৮৩ তারিখে মুক্তি লাভ করেন। এই বিচার ও কারাদণ্ড সেই সময়ে বাংলাদেশে ও সমগ্ৰ ভারতে প্ৰচণ্ড উত্তেজনা সৃষ্টি করিয়াছিল। তাহার মুক্তির দিনে নিমতলার ফ্রি চার্চ কলেজে তাহাকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, সেই সভায় ও পরে ১৭ জুলাই তারিখের বিরাট জনসভায় তিনি জনসাধারণকে ধৈর্য ও মিতব্যবহার অবলম্বনের উপদেশ দেন। ইহাই রবীন্দ্রনাথের বর্তমান প্ৰবন্ধ রচনার অব্যবহিত উপলক্ষ। জিজ্ঞাসা ও উত্তর’ নামে একটি নূতন বিভাগ ভারতী-র বৈশাখ ১২৯০-সংখ্যা হইতে শুরু হয়। শ্রাবণ-সংখ্যায় এই বিভাগে দুইটি প্রশ্ন করা হইয়াছিল, বর্তমান সংখ্যায় ইহার উত্তর মুদ্রিত হইয়াছে। প্রথম প্ৰশ্ন- আদিশূরের সময়ে পাঁচজন কায়ন্থের বাংলায় আসিবার কারণ কি?- উত্তর দিয়াছেন। কৈলাসচন্দ্ৰ সিংহ। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল ‘জাতীয়তার লক্ষণ কি?” বিভিন্ন দিক দিয়া এই প্রশ্নের যে উত্তর দেওয়া হইয়াছে তাহার রচয়িতার নাম না থাকিলেও বিভাগটি রবীন্দ্রনাথই পরিচালনা করিতেন বলিয়া ইহা তাহার রচনা বলিয়া গ্রহণ করা হইয়াছে। ভারতী পত্রিকার আষাঢ় ১২৯০-সংখ্যায় জ্ঞানদানন্দিনী দেবী-পঠিত ‘সমাজ সংস্কার ও কুসংস্কার’ নামক যে প্ৰবন্ধ প্রকাশিত হয়, ভাদ্র-সংখ্যায় ‘শ্ৰীমতী-” তাহার একটি “প্ৰতিবাদ” লেখেন। বর্তমান প্ৰবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘শ্ৰীীরঃ-” স্বাক্ষরে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কগুলির সারসংক্ষেপ ও বিচার করিয়া তৃতীয় পক্ষ’ হিসাবে তাহার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করিয়াছেন। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারামুক্তির পরে ১৭ জুলাই ১৮৮৩ তারিখে কলিকাতার অনাথিনাথ দেবের বাজারে একটি বিরাট জনসভা হয়। এই সভার বিবরণে সোমপ্রকাশ (৮ শ্রাবণ ১২৯০) পত্রিকা লেখে, “প্ৰায় ৫ ৬ হাজার লোক একত্ৰ মিলিত হইয়া একটি সভা করিয়াছিলেন। সভাস্থলে এই প্ৰস্তাব হয়, ইংলন্ডে ও ভারতে রাজনীতি সংক্রান্ত আন্দােলনার্থ ছয় লক্ষ টাকা মূলধন সংগ্ৰহ করা আবশ্যক। এই প্রস্তাবটি সভার অঙ্গীকৃত ও অবধারিত হইয়াছে।” কিছুকাল পূর্বে ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ইংরাজেরা প্ৰায় দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা তুলিয়াছিল। তাহদের সাফল্যে উৎসাহিত হইয়াই এই ন্যাশনাল ফান্ডের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। রবীন্দ্রনাথ ন্যাশনাল ফন্ড” প্রবন্ধে কয়েকটি বিশেষ প্রশ্নে প্রস্তাবটির সমালোচনা ও কতকগুলি গঠনমূলক পরিকল্পনা পেশ করিয়াছেন। গঠনমূলক এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে স্মরণীয় যে অনেকদিন পরে রবীন্দ্রনাথ নিজেই একবার এই ফান্ডের নিকট হইতে সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে তঁাতের কাজ শিখাইবার ব্যবস্থা করিবার জন্য। ভারতসভার কাছে প্রেরিত সেই চিঠিটি (১০ বৈশাখ ১৩২৬) এখানে উদধূত হইল : હ বিনয় সম্ভাষণ পূৰ্ব্বক নিবেদন শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের সংস্রবে তাতের কাজ শিক্ষা দিবার জন্য আমরা আয়োজন করিতেছি। শ্ৰীরামপুর হইতে তাত আনানো হইয়াছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নহে এই কারণে যথোচিতভাবে আমাদের সঙ্কল্পসাধনে বাধা পড়িতেছে। ন্যাশনাল ফান্ড