পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N8, S.G. S. Sዔ. Sbr. গ্রহপরিচয় roS শুরু (আশ্বিন ১২৯৪) হইতে মানসী’ কাব্যগ্রন্থের অনেকগুলি কবিতার মধ্য দিয়া “রাজা ও রানী’ (চৈত্র ১২৯৫) নাট্যকাব্য রচনা পর্যন্ত প্ৰায় দেড় বৎসর রবীন্দ্রনাথের মন নারী ও পুরুষের প্রেমের রহস্য উদঘাটনে ব্যাপৃত ছিল, উল্লিখিত রচনাটি ও বর্তমান বিভাগে সংকলিত ২৫-২৭ সংখ্যক প্রস্তাবে এই বিষয়েরই বিভিন্ন দিক আলোচিত হইয়াছে। ইহাদের রচনাকাল ও অন্যান্য জ্ঞাতব্য তথ্য নিম্নে প্রদত্ত হইল : “আমাদের সভ্যতায় বাহ্যিক ও মানসিকের অসামঞ্জস্য” রচনাটি ২০ নভেম্বর ১৮৮৮ (৬ অগ্রহায়ণ ১২৯৫) তারিখে লেখা। ২২-সংখ্যক টীকা দ্রষ্টব্য। শ্ৰী-পুরুবের প্রেমের প্রভাব’, রচনা : ২৪ নভেম্বর ১৮৮৮ (১০ আগ্রহায়ণ y, Sab62) || “আমাদের প্রাচীন কাব্যে ও সমাজে প্রেমের অভাব, রচনা : ২৬ নভেম্বর ১৮৮৮ (১২ VOISIR Y Raa) ‘Chivalry’, রচনা : ২৬ নভেম্বর ১৮৮৮ (১২ অগ্রহায়ণ। ১২৯৫)। এই প্রস্তাবে staffrica : Browning as in a Balcony arrs aforeicy Sir করিতেছেন যে, কেবলমাত্র রানী হইয়া স্ত্রীলোকের সম্পূর্ণতা নাই সুখ নাই, যদি একজন সামান্যতম প্ৰজা সমস্ত রাজসম্মান উপেক্ষা করিয়া তাহকে ভালোবাসে তাহা হইলে যেন তাহার স্ত্রী-প্রকৃতি কতকটা চরিতার্থ হয়।” “রাজা ও রানী’ নাটকের সুমিত্রার মধ্যে এই ভাবনার ছায়া লক্ষিত হয়। 静 আছে। প্ৰবন্ধটিতে সমকালীন রাজনৈতিক আন্দোলন সম্পর্কে লেখকের নৈরাশ্যব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হইয়াছে মনে করিয়া রবীন্দ্রনাথের রচনার দ্বাদশ অনুচ্ছেদের পাদটীকায় ভাং সং (ভারতী-সম্পাদিকা স্বর্ণকুমারী দেবী) লিখিয়াছেন, লেখক আমাদের এখনকার পলিটিক্যাল আন্দোলন যেরূপ অসার মনে করেন একটু ভাবিয়া দেখিলেই দেখিবেন তাহা নহে। এই আন্দোলনের মধ্যে- কাজ করিবার একটি ইচ্ছা জাতীয় মহত্ত্ব লাভের দিকে অগ্রসর হইবার একটি উদ্যম প্রকাশ পাইতেছে, তবে লেখক একদিনেই যদি আমাদের শত শত বৎসরের অবনতির বিনাশ দেখিতে চান তাহা কি করিয়া পাইবেন ? লেখক বলিয়াছেন, “আমাদের মধ্যে অতি অল্প লোকই আছেন যাঁহারা আমাদের রাজ্যশাসনতন্ত্র এবং Representative Government-KK E fA ATR GAVs (RG বর্তমানকালে তাহার উপযোগিতা ও সম্ভাবনা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু অবগত আছেন অথবা প্রকৃত পরিশ্রম স্বীকার করিয়া তদবিষয়ে কিছু জানিতে অভিলাষী আছেন।” অবশ্য দেশের অধিকাংশ লোক যদি যোগ্য হইত। তাহা হইলে তো সমস্ত গোল চুকিয়া যাইত, এরূপ পলিটিক্যাল আন্দোলনেরই বা তাহা হইলে আবশ্যক কোথা কিন্তু আমাদের দেশে কোন ছার কথা যুরোপের কোনো দেশেই কি অধিকাংশ লোকে রাজ্যশাসনতন্ত্রের মর্মগত নিয়ম বিচার করিয়া কাজ করে? এরাপ স্থলে সর্বই নেতাগণ প্রধান, তাহদের প্রাণগত চেষ্টা, মহন্তই জাতীয় উন্নতির কারণ। আমন্দিগের পলিটিক্যাল নেতাগণের সকলে না হউন, যখন অনেকেই তীহাদের উদ্দেশ্যসাধনে প্ৰাণগত | চেষ্টা করিতেছেন, তখন কি এই আন্দোলনকে আমরা সারশূন্য বলিতে পারি? চরিত্ৰ-মাহাত্ম্য নহিলে কোনো উন্নতি হয় না। সত্য, কিন্তু ইহার দিকে আমাদের যে লক্ষ পড়িয়ছে- তাহার উক্তরােপ অনেক প্রমাণ দেখা যাইতেছে, তাহা ছাড়া লেখকের বর্তমান প্রবন্ধই তাহার একটি ; erre -- Wu ZR |