পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহপরিচয় woጓ তিনি “মানসী’ পত্রিকার আশ্বিন ১৩২০-সংখ্যায় প্রকাশ করেন। ২৪. ৭ ও ৮ অক্টোবর ১৮৮৯ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ছেলেবেলাকার কথা” নামক দুইটি প্রস্তাব লেখেন। এই রচনা দুইটির প্রভাবে রবীন্দ্রনাথ ১০ অক্টোবর (২৫ ‘আশ্বিন ১২৯৬) "ছেলেবেলাকার শরৎকাল” প্ৰস্তাবটি রচনা করেন। ২৫. "ইন্দুর-রহস্য” রচনা : ১৬ অক্টোবর ১৮৮৯ (১ কার্তিক ১২৯৬)। এই রচনাটি সামান্য পরিবর্তিত আকারে “সাধনা’-র ভাদ্র-কার্তিক ১৩০২ সংখ্যায় প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক द्मीक्ष-द्रष्नांदठी विठोझ यं९७ : সুলভ প্রথম খণ্ড । ২৬. কাজ ও খেলা’ এবং খেলার কি কোন কার্যকারিতা নাই’ নামে দুইটি প্রসঙ্গের অবতারণা করেন জ্যোতিরিন্দ্ৰনাথ যথাক্রমে ৮ ও ৯ অক্টোবর ১৮৮৯ তারিখে। তাহার বক্তব্যকে সম্প্রসারিত করিয়া কাজ ও খেলা’ প্ৰস্তাবটি রবীন্দ্ৰনাথ লেখেন- ১৭ অক্টোবর ১৮৮৯ (২ কার্তিক ১২৯৬)। ২৭-২৮. এই দুইটি রচনা ৬ এপ্রিল ১৮৯১ (২৪ চৈত্র ১২৯৭) তারিখে রচিত হয়। রচনার অভ্যন্তর হইতে শব্দগুচ্ছ সংগ্ৰহ করিয়া ইহাদের শিরোনাম দেওয়া হইয়াছে। ২৯ বগান ও ঠাকুরঘর রচনা দুইটি সম্ভবত পত্রিকার শূন্যস্থান পূর্ণ করিবার জন্য থত ; ৩১-৩২, “নিম্মল চেষ্টা’ ও ‘সফলতার দৃষ্টান্ত” হাস্যরসাত্মক এই দুইটি রচনায় রবীন্দ্রনাথ সমকালীন বাংলা গল্প ও গদ্যরচনারীতি লইয়া ব্যঙ্গ করিয়াছেন। একই সময়ে লিখিত ও ‘সাধনা’-র ভাদ্র-আশ্বিন ১২৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত রীতিমত নভেলী’ গল্পটিও একই বিষয়কে অবলম্বন করিয়াছে। ৩৩. ‘লেখক-জন্ম’ রচনাটি রবীন্দ্রসাহিত্যের ইতিহাসে বহুলপরিচিত “পকেটবুক' বা ‘মজুমদারপুথি' নামক পাণ্ডুলিপি (রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত ফোটোকপির নির্দেশক সংখ্যা ৪২৬) হইতে সংগৃহীত হইয়াছে। শিরোনাম সম্পাদকমণ্ডলির দেওয়া। রচনাটিতে তারিখ নাই, আগে-পরে লিখিত পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠাগুলির বিচারে আনুমানিক রচনাকাল ফাল্লুন ১২৯৯ নিধারণ করা হইয়াছে। ৩৪. রবীন্দ্রনাথ ১৩০৫ বঙ্গাব্দে এক বৎসরের জন্য ভারতী’ সম্পাদনা করিয়া এই দায়িত্ব ত্যাগ করেন। সম্পাদকের বিদায় গ্রহণ।” রচনাটিতে তাহার কৈফিয়ত প্রদত্ত হইয়াছে। গ্ৰন্থসমালোচনা ইংল্যান্ড হইতে স্বদেশে ফিরিয়া আসিবার পর (১২৮৬।১৮৮০) রবীন্দ্ৰনাথ “ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদনাকর্মের সহিত ঘনিষ্ঠতরভাবে যুক্ত হন। এই সূত্রেই তিনি পত্রিকা-দপ্তরে সমালোচনার জন্য প্রেরিত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত আলোচনা লিখিতে আরম্ভ করেন। রাবণ-বধ দৃশ্য কাব্য, অভিমনু-বধ দৃশ্য কাব্য, অভিমনুষ্ঠু সম্ভব কাব্য, The Indian Homapathic Review সংক্ষিপ্ত সমালোচনা, ভারতী, মাঘ ১২৮৮ গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রণীত রাবণ-বধ দৃশ্য কাব্য’ ও ‘অভিমনু-বধ দৃশ্য কাব্য’। এই দুটি গ্রন্থের সমালোচনায় পূর্বে “ভারতী’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধকাব্য’ সম্বন্ধে যেসমস্ত অভিযোগ সবিস্তারে আলোচনা করিয়াছিলেন, এখানে সংক্ষেপে সেই প্রসঙ্গগুলি লোচিত। এখানে গিরিশচন্দ্রের নাট্যসংলাপের ছন্দ সম্পর্কে যে বিচার, তাহার মধ্যেও