পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহপরিচয় r r)A বৈজ্ঞানিক সংবাদ নিয়ে।” রবীন্দ্রনাথ হিমালয়ে থাকার সময়েই জ্যৈষ্ঠ ১৭৯৫ শকের “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা”-য়, “ভারতবৰীয় জ্যোতিষশাস্ত্ৰ’ নামক একটি ধারাবাহিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়, এবং আষাঢ়, আখিন, কীৰ্তিক, পীেব ও মাৰি সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়া ক্রমশঃ প্ৰকাশ্য' অবস্থাতেই বন্ধ হইয়া যায়। এই সূত্র অনুসরণ করিয়া সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথকে প্রশ্ন করিলে তিনি ১৫ অক্টোবর ১৯৩৯ তীহাকে লেখেন : ; পিতৃদেবের মুখ থেকে জ্যোতিষের যে বিদ্যাটুকু সংগ্রহ করে নিজের ভাষায় লিখে নিয়েছিলুম সেটা যে তখনকার কালে তত্ত্ববোধিনীতে ছাপা হয়েছে এই অভূত ধারণা আজ পর্যন্ত আমার মনে ছিল। এর দুটাে কারণ থাকতে পারে। এক এই যে, সম্পাদক আনন্দচন্দ্ৰ] বেদান্তৰাগীশ মহাশয় ছাপানো হবে বলে বালককে আশ্বাস দিয়েছিলেন, বালক দেশৰ পৰ্যন্ত তার প্রমাণ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে নি। আর একটা কারণ এই হতে পারে যে, অন্য কোনো যোগ্য লেখক সেটাকে প্রকাশযোগ্য রূপে পূরণ করে দিয়েছিলেন। শেষোক্ত কারণটিই সঙ্গত বলে মনে হয়। এই উপায়ে আমার মন তৃপ্ত হয়েছিল এবং কোনো লেখকেরই নাম না থাকতে এতে কোনো অন্যায় করা হয় নি। এ না হলে এমন দৃঢ়বদ্ধমূল সংস্কার আমার মনে থাকতে পারত না। সজনীকান্ত এই চিঠি উদধূত করিয়া লিখিয়াছেন, “আমাদের মনে হয়, ইহার পর আর কাহারও মনে এ বিষয়ে সংশয় থাকিতে পারে না।” কিন্তু তাহার সংশয় ছিল বলিয়াই তিনি পূর্বে লিখিয়ছিলেন, “এ প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে আমরা নিঃসন্দিন্তু নাহি বলিয়া নমুনা দিলাম না।” দেবেন্দ্রনাথ প্রাইরের গ্রহ অবলম্বন করিয়া পুত্রকে জ্যোতিষ বিষয়ে শিক্ষা দিয়াছিলেন, . প্রসঙ্গক্রমে তিনি ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্ৰ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করিয়া থাকিলেও তাহার আলোচ্য বিষয় ছিল পাশ্চাত্য জ্যোতিবিদ্যা। কিন্তু "ভারতবর্ষীয় জ্যোতিষশাস্ত্ৰ’ প্ৰবন্ধের লক্ষ্য একান্তভাবেই ভারতীয় জ্যোতিব। সেই কারণে কেহ কেহ মনে করেন “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’-র পৌষ ১৭৯৬ শক (১২৮১) সংখ্যায় মুদ্রিত 'গ্ৰহগণ জীবের আবাসভূমি’ ক্ৰমশঃ প্ৰকাশ্য’ প্ৰবন্ধটিই রবীন্দ্রনাথের সেই জ্যোতিষ-বিষয়ক রচনা। ক্রমশঃ প্ৰকাশ্য” লেখা থাকিলেও পরবতীর্ণ কোনো সংখ্যায়। ইহার কোনো কিস্তি প্রকাশিত হয় নাই। “জীবনস্মৃতি” (১৩৬৮)-র তথ্যপীতে সংশয়-চিহ্নিত ভাবে প্ৰবন্ধটির উল্লেখ করা হইয়াছে। এই সকল কারণবশত এই প্ৰবন্ধটিকে পরিশিষ্টে গ্রহণ করা হইল। ‘বঙ্গে সমাজ-বিপ্লব’ সজনীকান্ত দাসের তালিকায় আছে। 'দেশ', রবীন্দ্রশতবর্ণপূর্তি সংখ্যা ১৩৬৯-এ রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত সাময়িক পত্র’ প্ৰবন্ধের পরিশিষ্টে প্রদত্ত “ভারতী প্ৰথম বর্ষে প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনার সূচীর অন্তর্ভুক্ত করিয়া পুলিনবিহারী সেন প্ৰবন্ধটি পুনর্মুদ্রিত করিয়াছিলেন। ইহার বক্তব্য ও ভাষা। রবীন্দ্রনাথের অপেক্ষা জ্যোতিরিন্দ্ৰনাথের ভাষা ও তাহার তৎকালীন আদি ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদকীয় বক্তব্যের সহিত মেলে বলিয়া কেহ কেহ। ইহাকে রবীন্দ্রনাথের রচনা মনে করেন না। তাছাড়া একই সংখ্যায় মুহিত ‘বাঙালির আশা DS DBDBBuS BBB BDDDSBDDB DB DDBD DD iD DDBB KB BLBu মহলানবিশ উপেক্ষা করিয়াছেন। সেইজন্য রচনাটিকে পরিশিষ্টে স্থান দেওয়া হইল। এই কারণেই আত্মভাবনামূলক এই রচনাটির প্রতি কাহারো দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় নাই। কিন্তু স্থান দেওয়া হইল। " ‘কবিতা-পুস্তক’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্ত নামীয় কাব্যগ্রহের সমালোচনা। রবীন্দ্রনাথস্বাক্ষরিত সজনীকান্ত দাসের তালিকায় রচনাটি অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। কিন্তু ইহার যাথার্থ So &8