পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতা কত-না করিত যত্ন করিত সাত্মনা। হাসিতে হাসিতে কত করিত আদর। কিন্তু হা, শ্মশানে যথা চাদের জোছনা শশানের ভীষণতা বাড়ায় দ্বিগুণমালতীর সেই হাসি দেখিয়া তেমনি নিজের এ হািদয়ের ভগ্না-অবশেষ দ্বিগুণ পড়িত যেন নয়নে আমার! : তাহার আদর পেয়ে ভুলিনু যাতনা, কিন্তু হয়, দেখি নাই, বিজন-শয্যায় কত দিন কাদিয়াছে মালতী গোপনে! সে যখন দেখিত, তাহার বাল্যাসখা দিনে দিনে অবসাদে হইছে মলিন, দিনে দিনে মন তার যেতেছে ভাঙিয়া, তখন আকুলা বালা রাত্রে একাকিনী কাদিয়া দেবতা কাছে করেছে। প্রার্থনাবালিকার অশ্রুময় সে প্রার্থনাগুলি আর কেহ শুনে নাই। অন্তৰ্যামী ছাড়া! দেখি নাই কত রাত্রি একাকিনী গিয়া যমুনার তীরে বসি কঁাদিত বিরলে! একাকিনী কেঁদে কেঁদে হইত প্রভাত, এলোথোলো কেশপাশে পড়িত শিশির, চাহিয়া রহিত উষা মান মুখপানে! বিষময়, বহিৰাময়, বজ্ৰময় প্ৰেম, এ স্নেহের কাছে তুই ঢাক মুখ ঢাক।। সৌন্দৰ্য-কুসুম-বনে তুই দাবানল, হৃদয়ের রোগ তুই, প্ৰাণের মাঝারে সতত রাখিস তুই পিপাসা পুষিয়া, আগ্নেয় নিশ্বাসে তোর জ্বলিয়া জুলিয়া হৃদয়ে ফুটিতে থাকে তপ্ত রক্তস্রোত। শিথিল শিরার গ্রন্থি, অচেতন প্ৰাণ, আশা ও নিরাশ-পাকে ঘুরিছে হৃদয়, ঘুরিছে চোখের পরে জগতসংসার। এই প্ৰেম, এই বিষ, বীজ-হুতাশন rs (S পৃথিবী হতে যাবে দূর হয়ে! ԳՎ.)