পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 মন্দগমন ছন্দে লুটায় মন্থর কোন ক্লান্ত বায়ে ; বিহঙ্গগান শান্ত তখন অন্ধ রাতের পক্ষ ছায়ে । মশাল তাদের রুদ্রজ্বালায় উঠল জ্বলে দূর-গগনের স্তব্ধ তারা মুগ্ধ ভ্ৰমণ তাহার পরে । ভাবল পথিক-- এই যে তাদের মশাল-শিখা, নয়। সে কেবল দণ্ডপলের মরীচিকা । ভাবল তারা- এই শিখাটাই ধ্ৰুবজ্যোতির তারার সাথে ভাবল তারা এই শিখারই ভীষণ বলে রাত্রি-রানীর দুর্গ-প্রাচীর দগ্ধ হবে, অন্ধকারের রুদ্ধ কপাট দীর্ণ করে ছিনিয়ে লবে নিত্যকালের বিত্তরাশি ; ধরিত্রীকে করবে আপন ভোগের দাসী । ওই বাজে রে ঘণ্টা বাজে । চমকে উঠেই হঠাৎ দেখে অন্ধ ছিল তন্দ্ৰামাঝে । আপনাকে হায় দেখছিল কোন স্বপ্নাবেশে যক্ষপুরীর সিংহাসনে লক্ষমণির রাজার বেশে ; মহেশ্বরের বিশ্ব যেন লুঠ করেছে। অট্ট হেসে । শূন্যে নবীন সূর্য জাগে ওই যে তাহার বিশ্ব-চেতন কেতন-আগে জুলছে নূতন দীপ্তিরতন তিমির-মথন শুভ্ররাগে ; মশাল-ভস্ম লুপ্তিধুলায় নিত্যদিনের সুপ্তি মাগে । আনন্দলোক দ্বার খুলেছে, আকাশ পুলক-ময়জয় ভুলোকের, জয় দুলোকের, জয় আলোকের জয় । S শালবনের ওই আঁচল ব্যেপে যেদিন হাওয়া উঠিত খেপে ফাগুন-বেলার বিপুল ব্যাকুলতায়, যেদিন দিকে দিগন্তরে লগত পুলক কী মন্তরে কচি পাতার প্রথম কলকাথায়,