পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ක\ර් রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তাই এতদিন সকল খানে কিসের অভাব জাগে প্ৰাণে ভালো করে পাই নি তাহা বুঝে ; ফিরেছি। তাই নানামতে নানান হাটে, নানান পথে, অাজকে খবর পেলেম খাটিমা আমার এই শ্যামল মাটি, অন্নে ভরা শোভার নিকেতন ; অভ্ৰভেদী মন্দিরে তার বেদী আছে প্ৰাণ-দেবতার, ফুল দিয়ে তার নিত্য আরাধন । এইখানে তার অন্ধক-মাকে এইখানে সে পূজার কালে সন্ধ্যারিতির প্রদীপ জ্বলে শাস্ত মনে ব্লকান্ত দিনের শেষে । হেথা হতে গেলেম দূরে কোথা যে ইটকাঠের পুরে বেড়া-ঘেরা বিষম নির্বাসনে ; তৃপ্তি যে নাই, কেবল নেশা, ঠেলা ঠেলি, নাই তো মেশা, আবর্জনা জমে উপার্জনে । যন্ত্র-র্জাতায় পরান কঁদোয়, ফিরি। ধনের গোলক-ধাধায়, শূন্যতারে সাজাই নানা সাজে ; পথ বেড়ে যায় ঘুরে ঘুরে, কাজ ফলে না অবকাশের মাঝে । যাই চলে যাই মুক্তি-সুখে, ইটের শিকল দিই ফেলে দিই টুটে ; আজি ধারণী আপন হাতে ফল দিয়েছেন সাজিয়ে পত্রপুটে ।