পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী সেই নদী যায়। সেই কলতান গাহি তাহার মাঝে কি আমার অভাব নাহি । ] কিছু কি থাকে না বাকি । বালক গিয়েছে হারায়ে, সে কথা লয়ে কোনো আঁখিজল যায় নি কোথাও বয়ে ? শোনো শোনো ওগো বকুল-বনের পাখি, আর-বার তারে ফিরিয়া ডাকিবে না কি । যায় নি সেদিন যেদিন আমারে টানে, ধরার খুশিতে আছে সে সকলখানে ; আজ বেঁধে দাও আমার শেষের গানে তোমার গানের রাখী । আবার ব্যারেক ফিরে চিনে লও মোরে, বিদায়ের আগে লও গো আপন ক’রে । , শোনো শোনো ওগো বকুল-বনের পাখি, সেদিন চিনেছ আজিও চিনিবে নাকি । পারঘাটে যদি যেতে হয়। এইবার, খেয়াল-খেয়ায় পাড়ি দিয়ে হব পাের, শেষের পেয়ালা ভরে দাও। হে আমার সুরের সুরার সাকী ৷ ” এই কথা জেনে আসুক ঘুমের রাতি । শোনো শোনো ওগো বকুল-বনের পাখি, মুক্তির টিকা ললাটে দাও তো আঁকি । যাবার বেলায় যাব না ছদ্মবেশে, খ্যাতির মুকুট খসে যাক নিঃশেষে, কর্মের এই বর্মযাক-না ফেসে, কীর্তি যাক-না ঢাকি । ডেকে লও মোরে নামহারাদের দলে চিহ্নবিহীন উধাও পথের তলে । শোনো শোনো ওগো বকুল-বনের পাখি, যাই যবে যেন কিছুই না। যাই রাখি । ফুলের মতন সাঝে পড়ি যেন ঝরে, তারার মতন যাই যেন রাত-ভোরে, হাওয়ার মতন বনের গন্ধ হ’রে চলে যাই গান হাকি । বেণুপল্লবমর্মররব-সনে মিলাই যেন গো সোনার গোধূলিখনে । ফায়ুন N) WONODO Y Va,