পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী তুমি সে আকাশভ্ৰষ্ট প্রবাসী আলোক, হে কল্যাণী, দেবতার দূতী ৷ মর্তের গৃহের প্রান্তে বহিয়া এনেছে তব বাণী স্বর্গের আকৃতি । ভঙ্গুর মাটির ভাণ্ডে গুপ্ত আছে যে অমৃতবারি দেবতার হয়ে হেথা তাহারি সন্ধানে তুমি, নারী, দু। বাহু বাড়ালে । তাই তো কবির চিত্তে কল্পলোকে টুটিল অর্গল বেদনার বেগে, মানসতরঙ্গতলে বাণীর সংগীতশতদল ৷ নেচে ওঠে। জেগে । সুপ্তির তিমিরবক্ষ দীর্ণ করে তেজস্বী তাপস দীপ্তির কৃপণে ; বীরের দক্ষিণ হস্ত মুক্তিমন্ত্রে বাজ করে বশ, অসত্যেরে হানে । আপনার মনে বাণীহীন প্ৰতীক্ষায় আমি আজ একা বসে জাগি নির্জন প্ৰাঙ্গণে । দীপ চাহে তব শিখা, মৌনী বীণা ধোঁয়ায় তোমার অঙ্গুলিপিরশ । তারায় তারায় খোজে তুষ্ণায়-আতুর অন্ধকার সঙ্গসুধারাস । নিদ্রাহীন বেদনায় ভাবি কবে আসিবে পর্যানে চরম আহবান । মনে জানি এ জীবনে সাঙ্গ হয় নাই পূৰ্ণ তানে মোর শেষ গান । কোথা তুমি, শেষবার যে ছোয়াবে তব স্পর্শমণি আমার সংগীতে । মহানিস্তব্ধের প্রান্তে কোথা বসে রয়েছ রমণী নীরব নিশীথে । আনো আনো ডাকিবর্ষণ কোঙালি মোর মেঘের অন্তরে বহ্নি জ্বা.ে হে কালবৈশাখী । , অশ্রুভারে ক্লাস্ত তার স্তব্ধ মুক অবরুদ্ধ দান কালো হয়ে উঠে । Տ ՀԳ