পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> &br ১ অক্টোবর ১৯২৪ রবীন্দ্র-রচনাবলী বন্যাবেগে মুক্ত করো, রিক্ত করি করো পরিত্ৰাণ, সব লাও লুটে । P তার পরে যাও যদি যেয়ো চলি, দিগন্ত-অঙ্গন হয়ে যাবে স্থির । বিরহের শুভ্ৰাতায় শূন্যে দেখা দিবে চিরন্তন শান্তি সুগভীর । স্বচ্ছ আনন্দের মাঝে মিলে যাবে সর্বশেষ লাভ, সর্বশেষ ক্ষতিদুঃখে সুখে পূর্ণ হবে অরূপসুন্দর আবির্ভাব, আশ্রমধৌত জ্যোতি । ওরে পাস্থ, কোথা তোর দিনান্তের যাত্ৰাসহচরী । দক্ষিণপবন বহুক্ষণ চলে গেছে অরণ্যের পল্লব মমরি।-- নিকুঞ্জভবন গন্ধের ইঙ্গিত দিয়ে বসন্তের উৎসবের পথ করে না প্রচার । কাহারে ডাকিস তুই, গেছে চলে তার স্বর্ণরথ কোন সিন্ধুপার । জানি জানি, আপনার অন্তরের গহনবাসীরে আজিও না চিনি । সন্ধ্যারতিলগ্নে কেন আসিলে না। নিভৃত মন্দিরে শেষ পূজারিনী । কেন সাজালে না। দীপ, তোমার পূজার মন্ত্ৰ-গানে জাগায়ে দিলে না। তিমিররাত্রির বাণী, গোপনে যা লীন আছে প্ৰাণে দিনের অচেনা । অসমাপ্ত পরিচয় অসম্পূৰ্ণ নৈবেদ্যের থালি নিতে হল তুলে । مه রচিয়া রাখে নি মোর প্ৰেয়সী কি বরণের ডালি মরণের কুলে । সেখানে কি পুষ্পবনে গীতহীনা। রজনীর তারা নব জন্ম লভি এই নীরবের বক্ষে নবী ছন্দে ছুটবে ফেয়ারা - প্রভাতী ভৈরবী ।