পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখে-চোখে নীরব জানাজানি এ উৎসবে শুকনো ফুলের লাজ ঘুচিয়ে দিয়ে আজ । যদি-বা তার ফুরিয়ে থাকে বেলা, মনে জেনো দুঃখ তাহে নাই ; করেছিল ক্ষণকালের খেলা, পেয়েছিল ক্ষণকালের ঠাই । আলকে সে কানের কাছে দুলি বলেছিল। নীরব কথাগুলি, গন্ধ তাহার ফিরেছে পথ ভুলে তোমার এলোচুলে । সেই মাধুরী আজ কি হবে ফাকি । লুকিয়ে সে কি রায় নি কোনোখানে । কাহিনী তার থাকবে না। আর বাকি কোনো স্বপ্নে, কোনো গন্ধে গানে ? আরেক দিনের বনচ্ছায়ায় লিখা ফিরবে না কি তাহার মরীচিকা । অশ্রণীতে তার আভাস দিবে নাকি আরেক দিনের আঁখি । নাহয় তাও লুপ্ত যদিই হয়, তার লাগি শোক সেও তো সেই পথে । এ জগতে সদাই ঘটে ক্ষয়, ক্ষতি তবু হয় না কোনোমতে । শুকিয়ে-পড়া পম্পদলের ধূলি এ ধরণা যায়। যদি বা ভুলি— সেই ধুলারই বিস্মরণের কোলে নতুন কুসুম দোলে । S57, a greer ১৯ অক্টোবর ১৯, ২৪ মস্ত যে-সব কাণ্ড করি, শক্ত তেমন নয় ; জগৎ-হিতের তীরে ফিরি বিশ্বজগৎময় । সঙ্গীর ভিড় বেড়ে চলে ; অনেক লেখাপড়া, অনেক ভাষায় বকাবিকি, অনেক ভাঙাগড়া । ক্ৰমে ক্ৰমে জাল গেথে যায়, গিঠের পরে গিঠ, মহ’ল-’পরে মহল ওঠে, ইটের ‘পরে ইট ।