পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) ho R বুয়েনোস এয়ারিস ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ছায়াতে তিনিও সাথে ফেরেন নিঃশব্দ পদচারে বাশির উত্তর তার আমার বাশিতে শুনিবারে । যেদিন প্রিয়ার কালো চক্ষুর সজল করুণায় নিঃশব্দ বেদনা, তার দুটি হাতে মোর হাত রাখি স্তিমিত প্ৰদীপালোকে মুখে তার স্তব্ধ চেয়ে থাকি, তখন আঁধারে বসি আকাশের তারকার মাঝে অপেক্ষা করেন। তিনি, শুনিতে কখন বীণা বাজে যে সুরে আপনি তিনি উন্মাদিনী অভিসারিণীরে ডাকিছেন সর্বহারা মিলনের প্রলয় তিমিরে । বীণাহারা যাবে এসে নাড়া দিলে দ্বার | বীণা ফেলে এসেছি আমার, ওগো বীনকার । সেদিন মেঘের ভারে নদীর পশ্চিম পারে ঘন হল দিগন্তের ভুরু, বৃষ্টির নাচনে মাতা দেয়া গরাজিল গুরু গুরু । ভাবিনু ভরিবে মন বক্ষে জেগে উঠিবে মল্লার— হায়, লাগিল না। সুর কোথায় সে বহুদূর বীণা ফেলে এসেছি আমার । কণ্ঠে নিয়ে এলে পুষ্পহার । পুরস্কার পাব আশে বীণা ফেলে এসেছি আমার, ওগো বীনকার । প্ৰবাসে বনের ছায়ে ফাল্লুনের ছোয়া লাগে একি ?