পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সান ইসিড়ো ১৮ ডিসেম্বর ১৯২৪ পূরবী দাও তারে সেই তেজ মহত্ত্বে যাহার সমাধান, সার্থক হােক সে বনস্পতি । বিশ্বের অঞ্জলি যেন ভরিয়া করিতে পারে দান তপস্যার পূর্ণ পরিণতি । উঠক তোমার প্রেম রূপ ধরি তার সর্বমাঝে নিত্য নব পত্রে ফলে ফুলে । গোপনে আঁধারে তার যে অনন্ত নিয়ত বিরাজে আবরণ দাও তার খুলে । আপনার চরম বারতা— তারি। ফলে, তব সফলতা । 어, আমি পথ, দূরে দূরে দেশে দেশে ফিরে ফিরে শেষে দুয়ার-বাহিরে থামি এসে । আমি পাই ক্ষণে ক্ষণে তারি ছিন্ন অংশ অর্থহারা, সেথা হতে লেখে মোর ধূলিপটে দীপরশ্মিরেখা অসম্পূর্ণ লেখা | জীবনের সৌধমাঝে কত কক্ষ কত না মহলা, তলার উপরে কত তলা । আজন্মবিধবা তারি এক প্রান্তে রয়েছি। একাকী, লক্ষ্য নাহি উপলক্ষ, দেশ নহি আমি যে উদ্দেশ— মোর নাহি শেষ । উৎসবসভায় যেতে যে পায় আহবান-পত্ৰখনি তাহারে বহন করে আনি । সে লিপির খণ্ডগুলি মোর বক্ষে উড়ে এসে পড়ে, ধুলায় করিয়া লুপ্ত তাদের উড়ায়ে দিই ঝড়ে, আমি মালা গেথে চলি শত শত জীর্ণ শতাব্দীর বহু বিস্মৃতির। আমি সেই পুরাতন বাণী । Σ δώ.