পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO O রবীন্দ্র-রচনাবলী হে নিত্য নবীন, কবে তোমারি গোপন কক্ষ হতে পাড়ি দিল এ ফুল আলোতে । সুপ্তি হতে জেগে দেখি বসন্তে একদা রাত্রিশেষে অরুণকিরণ সাথে এ মাধুরী আসিয়াছে ভেসে হৃদয়ের বিজন পুলিনে । দিবসের ধুলা এরে কিছুতে পারে নি কাড়িবারে, তুমি লাও চিনে । হে চরম, এরই গন্ধে তোমারি আনন্দ এল মিশে, বুঝেও তখন বুঝি নি। সে । তব লিপি বর্ণে বর্ণে লেখা ছিল এরই পাতে পাতে, তাই নিয়ে গোপনে সে এসেছিল তোমারে চিনাতে, কিছু যেন জেনেছি। আভাসে । আজিকে সন্ধ্যায় যাবে সব শব্দ হল অবসান আমার ধেয়ান হতে জাগিয়া উঠিছে এরই গান তোমার আকাশে । জু লিয়ো চেজারে জাহাজ ১০ জানুয়ারি ১৯২৫ প্ৰাণগঙ্গা প্রতিদিন নদীস্রোতে পুষ্পপত্ৰ করি অৰ্ঘ্য দান পূজারির পূজা-অবসান । আমিও তেমনি যত্নে মোর ডালি ভবি গানের অঞ্জলি দান করি পূজি আমি তারে । বিগলিত প্রেমের আনন্দবারি সে যে, এসেছে বৈকুণ্ঠধাম ত্যেজে । মৃত্যুঞ্জয় শিবের অসীম জটাজালে ঘুরে ঘুরে কালে কালে তপস্যার তাপ লেগে প্রবাহ পৰিত্ৰ হল তার । কত-না যুগের পাপভার নিঃশেষে ভাসায়ে দিল অতলের মাঝে । তরঙ্গে তরঙ্গে তার বাজে ভবিষ্যের মঙ্গলসংগীত । তটে। তটে বাকে বঁাকে অনন্তের চলেছে ইঙ্গিত ।