পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO S রবীন্দ্র-রচনাবলী তুলিয়া ধরিনু বুকে । * মোর হল জয়’ হেসে হেসে কয়, দূরে চলে গেল ত্বরা । উঠিল তপন মধ্যগগনদেশে, আসিল দারুণ খরাসন্ধ্যায় দেখি তপ্ত দিনের শেষে ফুলগুলি সব ঝরা । ইটালিয়া কহিলাম, ‘ওগো রানী, কত কবি এল, চরণে তোমার উপহার দিল আনি । এসেছি শুনিয়া তাই, উষার দুয়ারে পাখির মতন গান গেয়ে চলে যাই ।” শুনিয়া দাড়ালে তব বাতায়ন-’পরে ; ঘোমটা আড়ালে কহিলে করুণ স্বরে, ‘এখন শীতের দিন । কহিলাম, ‘ওগো রানী, সাগরপারের নিকুঞ্জ হতে এনেছি বঁাশরিখানি । উতারো ঘোমটা তব, বারেক তোমার কালো নয়নের আলোখিনি দেখে লব ।” কহিলে, “আমার হয় নি। রঙিন সাজ ; হে অধীর কবি, ফিরে যাও তুমি আজ ; মধুর ফাগুন মাসে কুসুম-আসনে বসিব যখন ডেকে লব মোর পাশে } কহিলাম, ‘ওগো রানী, সফল হয়েছে। যাত্ৰা আমার, শুনেছি। আশার বাণী । বসন্তসমীরণে তব আহবানমন্ত্র ফুটিবে কুসুমে আমার বনে । মধুপমুখর গন্ধমাতাল দিনে ওই জানালার পথখানি লব চিনে, আসিবে সে সুসময় । আজিকে বিদায় নেবার বেলায় গাহিব তোমার জয় ।”