পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO রবীন্দ্র-রচনাবলী এরই পরে কাশী থেকে মা আসলেন ফিরে । কানাই তারে বললে ধীরে ধীরে“জান তো মা, তোমার বাক্য মোদের শিরোধাৰ্য, এটা কিন্তু নিতান্ত অকাৰ্য । বিধি তাদের দেবেন। শাস্তি, আমরা করব রক্ষে, উচিত নয়। মা সেটা কারো পক্ষে ।” কানাই যদি নরম হয় বা, বলাই রইল রুখে অপ্ৰসন্ন মুখে । বললে, “হেথায় নিজে এসে মাসি তোমার পড়ুন পায়ে ধরে দেখব। তখন বিবেচনা করে ।” মা বললেন, “তোরা বলিস কী এ | একটা দুঃখ দূর করতে গিয়ে আরেক দুঃখে বিদ্ধ করবি মর্ম ! এই কি তোদের ধর্ম !” এত বলি বাহির হয়ে চলেন তাড়াতাড়ি ; তারা বলে, “যােচ্ছ কোথায় ।” মা বললেন, “অপূৰ্বদের বাড়ি । দুঃখে তাদের বক্ষ আমার ফাটে ; রাইব আমি তাদের ঘরে যতদিন না বিপদ তাদের কাটে ।” “ রোসো, রোসো, থামো, থামো, করছি এ কী । আচ্ছা, ভেবে দেখি । তোমার ইচ্ছা যাবে আচ্ছা নাহয় যা বলছি তাই হবে ।” আর কি থামেন তিনি ? গেলেন একাকিনী অপূৰ্ব্বদের ঘরে তাদের মাসি । ছিল না। আর দেবে চোবে, ছিল না চাপরাসি । প্ৰণাম করল লুটিয়ে পায়ে বিপিনের মা, পুরোনো সেই দাসী । নিষ্কৃতি মা কেঁদে কয়, “মঞ্জলী মোর ওই তো কচি মেয়ে, ওরই সঙ্গে বিয়ে দেবে ?- বয়সে ওর চেয়ে পাচগুনো সে বড়ো ; তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়সড় । এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকে ৷” বাপ বললে, “কান্না তোমার রাখো ! পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোজে, জানি না কি মস্ত কুলীন ও যে }