পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ ՖՀ Գ রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলক কোণে, পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে । সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে আল ৷ শেখর। পৌচেছে, গান আকাশের পরে গিয়ে পীেচেছে। দ্বার খুলেছে তার। দেখতে পােচ্ছ কি, *ারদা বেরিয়েছেন । দেখতে পােচ্ছ না ? আচ্ছা তা হলে আগে ধ্যানের গানটি গেয়ে নিই | , লেগেছে অমল ধবল পালে মন্দ মধুর হাওয়া । দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া । কোন সাগরের পার হতে আনে কোন সুদূরের ধন ! ভেসে যেতে চায় মন, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায় সব চাওয়া সব পাওয়া | পিছনে ঝরিছে ঝরঝর জল গুরু গুরু দেয়া ডাকে, মুখে এসে পড়ে অরুণ কিরণ ওগো কাণ্ডারী, কে গো তুমি, কার হাসিকান্নার ধন । ভেবে মরে মোর মন কোন সুরে আজ বাধিবে যন্ত্র কী মন্ত্র হবে গাওয়া ৷ এবারে আর দেখতে পাই নি বলবার জো নেই । প্রথম বালক । কই দেখিয়ে দাও-না | শেখর ঐ- যে সাদা মেঘ ভেসে আসছে । দ্বিতীয় বালক ! হা হা, ভেসে আসছে । তৃতীয় বালক । হা, আমিও দেখেছি । শেখর । ঐ-যে আকাশ ভরে গেল । প্রথম বালক । কিসে % শেখর | কিসে । এই তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে আলোতে, আনন্দে | বাতাসে শিশিরের পরশ পােচ্ছ দ্বিতীয় বালক । হা, পাচ্ছি। শেখর । তবে আর-কি ! চক্ষু সার্থক হয়েছে, শরীর পবিত্র হয়েছে, মন প্রশান্ত হয়েছে । এসেছেন, এসেছেন, আমাদের মাঝখানেই এসেছেন । দেখছি না বেতসিনী নদীর ভাবটা !! আর ধানের খেত, কী রকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে ৷ এবার বরণের গানটা ধরিয়ে দিই । গাও ।