পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६°sक्ष ORR সোমপাল। কী মুশকিলেই পড়লেম ! সে-সব কথা কেন ঠাকুর, সে এখন থাক-না ! ওহে লক্ষেশ্বর, তুমি এখানে বসে বসে কী শুনিছ! এখান থেকে যাও-না ! লক্ষেশ্বর । মহারাজ, যাই এমন আমার সাধ্য কী আছে! একেবারে পাথর দিয়ে চেপে রেখেছে। যমে না নড়ালে আমার আর নড়াচড় নেই। নইলে মহারাজের সামনে আমি যে ইচ্ছাসুখে বসে থাকি এমন আমার স্বভাবই নয় | বিজয়াদিত্যের অমাত্যগণের প্রবেশ মন্ত্রী ৷ জয় হােক মহারাজাধিরাজচক্রবর্তী বিজয়াদিত্য ! [ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম সোমপাল । আরো করেন কী, করেন কী ! আমাকে পরিহাস করছেন নাকি ! আমি বিজয়াদিত্য নই । আমি তার চরণাশ্রিত সামন্ত সোমপাল | মন্ত্রী । মহারাজ, সময় তো অতীত হয়েছে, এক্ষণে রাজধানীতে ফিরে চলুন। সন্ন্যাসী । ঠাকুরদা, পূর্বেই তো বলেছিলেম পাঠশালা ছেড়ে পালিয়েছি কিন্তু গুরুমশায় পিছন পিছন তাড়া করেছেন । ঠাকুরদাদা | প্ৰভু এ কী কাণ্ড ! আমি তো স্বপ্ন দেখছি নে ! সন্ন্যাসী । স্বপ্ন তুমিই দেখছি কি এরাই দেখছেন তা নিশ্চয় করে কে বলবে ? ঠাকুরদাদা । তবে কিসন্ন্যাসী । হা, এরা কয়জনে আমাকে বিজয়াদিত বলেই তো জানেন । ঠাকুরদাদা | প্ৰভু, আমিই তো তবে জিতেছি । এই কয় দণ্ডে আমি তোমার যে পরিচয়টি পেয়েছি ৩। এরা পর্যন্ত পান নি ! কিন্তু বড়ো সংকটে ফেললে তো ঠাকুর | লক্ষেশ্বর । আমিও বড়ো সংকটে পড়েছি মহারাজ ! আমি সম্রাটের হাত থেকে বাঁচবার জন্যে সন্ন্যাসীর হাতে ধরা দিয়েছি, এখন আমি যে কার হাতে আছি সেটা ভেবেই পাচ্ছি নে । সোমপাল | মহারাজ দাসকে কি পরীক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন ? সন্ন্যাসী । না সোমপাল, আমি নিজের পরীক্ষাতেই বেরিয়েছিলেম । সোমপাল । মহারাজ, আপনি যে শরতের বিজয়যাত্রায় বেরিয়েছেন আজ তার পরিচয় পাওয়া DDBD S DLOY BDB DBB LLB BDODD S উপনিন্দের প্রবেশ উপনন্দ । ঠাকুর । এ কী, রাজা যে ! এরা সব করা ! পলায়নোদ্যম সন্ন্যাসী | এসে এসো, বাবা, এসো | কী বলছিলে বলে । (উপনন্দ নিরুত্তর) এঁদের সামনে বলতে লজ্জা করছি ? আচ্ছা, তবে সোমপাল একটু অবসর নাও । তোমরাও— উপনন্দ । সে কী কথা । ইনি যে আমাদের রাজা, এর কাছে আমাকে অপরাধী কোরো না । আমি তোমাকে বলতে এসেছিলেম এই কদিন পুঁথি লিখে আজ তার পারিশ্রমিক তিন কািহন পেয়েছি। এই দেখো । সন্ন্যাসী। আমার হাতে দাও বাবা ! তুমি ভাবছ। এই তোমার বহুমূল্য তিন কার্ষপণ আমি লক্ষেশ্বরের হাতে ঋণশোধের জন্য দেব ? এ আমি নিজে নিলেম । আমি এখানে শারদার উৎসব করেছি, এ আমার তারই দক্ষিণা । কী বলো বাবা ! উপনন্দ । ঠাকুর, তুমি নেবে ! সন্ন্যাসী । নেব বৈকি। তুমি ভােবছ সন্ন্যাসী হয়েছি বলেই আমার কিছুতে লোভ নেই ? এ-সব