পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ ঘূতিভূষণ আছেন তাকে আপনার সভায় নিয়ে যেতে পারেন। সন্ন্যাসী । না, অত বড়ো লোককে নিয়ে আমার সুবিধা হবে না, আমি ঐকেই চাই। আমার প্রাসাদে অনেক জিনিস আছে, কেবল বয়স্য নেই। ঠাকুরদাদা। বয়সে মিলবে না প্ৰভু, গুণেও না ; তবে কিনা ভক্তি দিয়ে সমস্ত অমিল ভরিয়ে তুলতে পারব। এই ভরসা আছে। সন্ন্যাসী । ঠাকুরদা, সময় খারাপ হলে বন্ধুরা পালায়, তাই তো দেখছি। আমার উৎসবের বন্ধুরা এখন সব কোথায় ? রাজদ্বারের গন্ধ পেয়েই দৌড় দিয়েছে নাকি ! ঠাকুরদাদা। কারও পালাবার পথ কি রেখেছ ? আটঘট ঘিরে ফেলেছি যে। ঐ আসছে। শেখরের সঙ্গে বালকগণের প্রবেশ সকলে। সন্ন্যাসী ঠাকুর, সন্ন্যাসী ঠাকুর | সন্ন্যাসী । (উঠিয়া দাড়াইয়া) এসো বাবা, সব এসো | সকলে | একী ! এ যে রাজা ! আরো পালা, পালা ! পলায়নোদ্যম ঠাকুরদাদা । আরো পালাস নে ! পালাস নে ! সন্ন্যাসী | তোমরা পালাবে কী, উনিই পালাচ্ছেন | যাও সোমপাল, সভা প্ৰস্তুত করো গে, আমি যাচ্ছি। সোমপাল | যে আদেশ । সকলের গান আমার নয়ন-ভুলানো এলে ! আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে ! Գ | | Հ Հ শিউলিতলার পাশে পাশে, ঝরা ফুলের রাশে রাশে, অরুণরাঙা চরণ ফেলে। নয়ন-ভুলানো এলে ! ফুলগুলি ওই মুখে চেয়ে কী কথা কয় মনে মনে | তোমায় মোরা করব বরণ, মুখের ঢাকা করো হরণ, ওইটুকু ওই মেঘাবরণ দু-হাত দিয়ে ফেলো ঠেলে ! নয়ন-ভুলানো এলে ! VE S SL [ প্ৰস্থান বালকেরা । আমরা বনে পথে সব জায়গায় গেয়ে গেয়ে এসেছি,এইবার এখানে গান শেষ করি । শেখর । ই ভাই, তোরা ঠাকুরকে প্ৰদক্ষিণ করে করে গান গা ।