পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তধারা \VS (*(२) | अीं९४० अ४न् ! উদ্ধব। ঐ হয়েছে! বন্দিীশালার সংলগ্ন পাকশালার তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই সুযোগে বন্দী-দুটিকে বের করে দিই । কিছুক্ষণ পরে অভিজিতের প্রবেশ অভিজিৎ । এ কী ! দাদামশায় যে ! বিশ্বজিৎ । তোমাকে বন্দী করতে এসেছি । মোহনগড়ে যেতে হবে । অভিজিৎ । আমাকে আজ কিছুতেই বন্দী করতে পারবে না— না ক্ৰোধে, না স্নেহে । তোমরা ভাবিছ তোমরাই আগুন লাগিয়েছ ? না, এ আগুন যেমন করেই হােক লগত । আজ আমার বন্দী থাকবার অবকাশ নেই | বিশ্বজিৎ । কেন, ভাই, কী তোমার কাজ ? অভিজিৎ | জন্মকালের ঋণ শোধ করতে হবে । স্রোতের পথ আমার ধাত্রী, তার বন্ধন মোচন করব | বিশ্বজিৎ । তার অনেক সময় আছে, আজ নয় । অভিজিৎ | সময় এখনই এসেছে এই কথাই জানি, কিন্তু সময় আবার আসবে কি না সে কথা কেউ জানি নে । বিশ্বজিৎ । আমরাও তোমার সঙ্গে যোগ দেব | অভিজিৎ ! না, সকলের এক কাজ নয়, আমার উপর যে কাজ পড়েছে, সে একলা আমারই । বিশ্বজিৎ । তোমার শিবতারাইয়ের ভক্তদল যে তোমার কাজে হাত দেবার জন্যে অপেক্ষা করে আছে তাদের ডাকবে না ? অভিজিৎ । যে ডাক আমি শুনেছি সেই ডাক যদি তারাও শুনত তবে আমার জনো অপেক্ষা করত। না | আমার ডাকে তারা পথ ভুলবে । বিশ্বজিৎ । ভাই, অন্ধকার হয়ে এসেছে যে । অভিজিৎ । যেখান থেকে ডাক এসেছে সেইখান থেকে আলোও আসবে । বিশ্বজিৎ ; তোমাকে বাধা দিতে পারি। এমন শক্তি আমার নেই । অন্ধকারের মধ্যে একলা চলেছি, তবুও তোমাকে বিদায় দিয়ে ফিরতে হবে । কেবল একটি আশ্বাসের কথা বলে যাও যে, আবার মিলন शोD6रा | অভিজিৎ । তোমার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হবার নয় এই কথাটি মনে রেখো । [দুইজনের দুই পথে প্রস্থান গান আগুন, আমার ভাই, আমি তোমারি জয় গাই । শিকল-ভাঙা এমন রাঙা মূর্তি দেখি নাই | দু-হাত তুলে আকাশ-পানে মেতেছি আজ কিসের গানে ? এ কী আনন্দময় নৃত্য অভয় বলিহারি যাই । আগল যাবে সরে, (Yves