পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা তারে দেখে সবাই হাসে ; মনে ভাবে, “এও কেন মোদের সাথে আসে। আশা করার ভরসাও যার নাইকো মনে, আগে হতেই হার মেনে যে চলে রণে ।” সবার তরে জায়গা সে দেয় মেলে, আগেভাগে যাবার লাগি ছুটে যায় না। আর-সবারে ঠেলে । কিন্তু নিত্য সজাগ থাকে ; পথ চলেছে যেন রে কার বাশির অধীর ডাকে হাতে নিয়ে রিক্ত আপন থালা ; তবু বলে, চায় না বিজয়মালা । সিংহাসনে একলা ব’সে রানী মূর্তিমতী বাণী । ঝংকারিয়া গুঞ্জরিয়া সভার মাঝে আমার বীণা বাজে । কখনো বা দীপক রাগে চমক লাগে, তারাবৃষ্টি করে ; কখনো বা মল্লারে তার অশ্র5ধারার পাগল-বোরা করে । আর-সকলে গান শুনিয়ে নতশিরে গেছে। ঘরে ফিরে । আমি পাব রানীর বিজয়মালা । আমাদের সেই তরুণ সাথি বসে থাকে ধুলায় আসন-তলে ; কথাটি না ব’লে । দৈবে যদি একটি-আধটি চাপার কলি পড়ে স্থালি সবার অগোচরে । সেইটি যত্নে নিয়ে তুলে পরে কর্ণমূলে । যদি তারে বলি হেসে“প্ৰদীপ জ্বালার সময় হল সাঝে এখনো কি রইবে সভামাঝে ।” সে হেসে কয়, “সব সময়েই আমার পালা, আমি যে ভাই, চাই নে বিজয়মালা ৷” રેછે